উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কৃষকদের কাছে নিয়ে যেতে হবে-কৃষি সচিব

এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গবেষক এবং সম্প্রসারণ যৌথভাবে কাজ করতে হবে, উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কৃষকদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। যশোর অঞ্চলে দীর্ঘদিনের যে প্রত্যাশা ফুলের চাষ সম্প্রসারণের জন্য টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি তৈরি করা এবং জারবেরা সহ অন্যান্য ফুলের চারা তৈরি করে কৃষকদের কাছে স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করা। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যশোর এলাকায় টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়।

আজ (১১ মার্চ) শনিবার আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, যশোরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে বারি উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তির মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা শীর্ষক গবেষণা-সম্প্রসারণ-কৃষক সন্নিবদ্ধ কর্মশালায় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি সচিব জনাবা ওয়াহিদা আক্তার।

প্রধান অতিথি বলেন. আজকের এই কর্মশালা মন্ত্রণালয়, গবেষণা এবং সম্প্রসারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা যাতে কৃষকদের উন্নয়নে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে।
তিনি আরও বলেন কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে ফসল উৎপাদন করতে হবে। সভাপতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় গবেষণা সম্প্রসারণের সন্নিবদ্ধ কর্মশালা দেশের সকল অঞ্চলে করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক ড.দেবাশীষ সরকার-এর এবং সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিএআরসি, ঢাকা; কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঢাকা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. ফেরদৌসি ইসলাম, পরিচালক (সে.ও স.), বিএআরআই, গাজীপুর এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড.মো. আইয়ুব হোসেন, পরিচালক (প্র. ও যো.), বিএআরআই, গাজীপুর।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ড. মো. গোলাম ফারুক, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, দিনাজপুর এবং ড. মো.মহি উদ্দিন, পরিচালক, ডাল গবেষণা কেন্দ্র, পাবনা।

এর আগে কৃষি সচিব আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, যশোরে আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ নব নির্মিত টিস্যু কালচার ভবন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ড.মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ, পরিচালক (গবেষণা), বিএআরআই, গাজীপুর। ভবন উদ্বোধনের পর কৃষি সচিব আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, যশোরে নব নির্মিত টিস্যু কালচার ভবনের সামনে বারি আম-১১ এর চারা রোপন করেন। এসময় অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. কাওছার উদ্দিন আহাম্মদ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আরএআরএস, যশোর; সরেজমিন গবেষণা এবং উপকূলীয় অঞ্চলের গবেষণার উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড.মো.হারুন অর রশিদ, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, খুলনা; কৃষি সম্প্রসারণের কার্যক্রমের উপর উপস্থাপনা করেন কৃষিবিদ মো. আবু হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যশোর অঞ্চল, যশোর এবং ড. খন্দকার শফিকুল ইসলাম, হাব ম্যানেজার, সিমিট, যশোর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা কৃষকদের কাছে শুনেন এবং গবেষকদের কি করণীয়, সম্প্রসারণে কি করণীয় তা নিয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া কৃষি সচিব আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, যশোরে বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের জাত ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীর স্টল এবং সিমিট এর প্রদর্শনীর স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ফসল এবং কৃষি যন্ত্রপাতি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রদর্শনীর স্টল দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ ভবনের সামনে কৃষক এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।

কর্মশালায় যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বিএডিসি, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, মিডিয়া কর্মী, এনজিও কর্মী এবং কৃষক সহ প্রায় ১০০ জন অংশগ্রহণ করেন।