আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি: বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা কিছু উদ্ভাবনী তার সবটাই আমাদের গ্রহণ করতে হবে। কৃষি ব্যবস্থাকে স্মার্ট সিস্টেম হিসেবে গড়তে ব্লকচেইন সিস্টেম প্রয়োজন হবেই। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির সাথে কৃষিকেও উন্নত করতে হবে। নিজেদেরকেও স্মার্ট হতে হবে। প্রযুক্তিগত যোগ্যতা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের এধরনের উদ্যোগ আরো বাড়াতে হবে। স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদীয় গ্যালারীতে কৃষিতে ব্লকচেইন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম এসব কথা বলেন। এ আলাচনা সভার আয়োজন করে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ‘নন- অ্যাকাডেমি’।
আলোচনা সভার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নন- অ্যাকাডেমির প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুল ইসলাম। এসময় তিনি কৃষিতে ব্লকচেইন, পণ্য সরবরাহ চেইনে স্বচ্ছতা, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি, স্মার্ট পেমেন্ট ও চুক্তি, কৃষকদের আধুনিক পরিচয় তৈরি, মার্কেটপ্লেস তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তিনি বলেন, ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়। এটি একটি অপরিবর্তনযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন যা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্যই প্রযোজ্য নয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো কার্য-পরিচালনা রেকর্ড করা যেতে পারে। কেবল একজনের কাছে সকল তথ্য পুঞ্জীভূত না থেকে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিশ্বের কোথায় খাবার সংকট আছে, কোথায় উদ্বৃত্ত আছে সকল তথ্য সহজেই জানা যাবে। ফসল উৎপাদন সম্পর্কিত সকল তথ্য সহজেই পাওয়া যাবে।
পরবর্তীতে ব্লকচেইনের ওপরে মানুষের বিশ্বস্ততা এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান। তিনি বলেন, বøকচেইনের অর্থনীতি হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্য অর্থনীতি। কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ সবকিছুর তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে। নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে থাকবে নিজের তথ্য। যে কেউ চাইলেই সেটি পরিমার্জন বা পরিবর্তন করতে পারবে না।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মোস্তাগীজ বিল্লাহ, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. মো. রোস্তম আলী। আরোও উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। আলোচনা শেষে কুইজ সেশনের আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের পুরষ্কৃত করা হয়।