রাজধানী প্রতিনিধি: জাতীয় জীবনের বেদনা বিধূর একটি দিন ১৫ আগস্ট। শোকের আবহে দেশব্যাপী আমরা এ দিনটি পালন করি। আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করতে চাই। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাঙালি জাতির নিজের পায়ে দাঁড়ানোর বঙ্গবন্ধুর যে আকাঙ্ক্ষা ও অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পূরণ করতে চাই।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টিএসসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতির জনকবৈষম্যহীন দেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়ন করতে চাই। বঙ্গবন্ধুতার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন। বার বার কারাগারে গিয়েছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও তিনি কখনো আপোষ করেননি। তিনি আপোষহীন ও নির্মোহভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে এতদিনে আমরা উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হতে পারতাম।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের কৃষিবিদদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গেছেন। কঠোর পরিশ্রম, মেধা আর প্রজ্ঞা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেই ঋণ পরিশোধ করা কৃষিবিদদের দায়িত্ব। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি, কৃষক, কৃষিবিদ এবং কৃষি বিজ্ঞানীদের এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কাজেই আমাদের কৃষিবিদদের সকলের উচিত তার হাতকে শক্তিশালী করা। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে মেধা দিয়ে, প্রযুক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে এবং এটি হোক আমাদের সকল কৃষিবিদদের শপথ ও প্রত্যয় বলেন বাহাউদ্দিন নাছিম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন একটি উন্নয়নের ইপ্সিত লক্ষে পৌঁছাতে যাচ্ছি তখনই আবার অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তিনি অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য কৃষিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ ফয়েজ আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনায় আরো অংশগ্রহন করেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম প্রিন্স, শেকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। শুরুতে ১৫ আগস্ট এর ভয়াল রাত্রির উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।