এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় উন্নয়নে পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে কাজ করতে হবে। সরকারি বরাদ্দের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করে পরিবেশের সুরক্ষা ও বৃক্ষরোপণ করতে হবে। তিনি বলেন, ইতিবাচক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কাজের গুণগত মান রক্ষা করে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মজীবনে প্রয়োগ করে জনসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার প্রকল্প পরিচালক ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাস্থান অধিকারী কর্মকর্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের পর সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ১ম পুরস্কার গ্রহণ করেন বন অধিদপ্তরের সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায়, ২য় পুরস্কার পান বগুড়া সার্কেলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম। ৩য় স্থান অধিকার করেন উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ আবু নাসার উদ্দিন এবং বন অধিদপ্তরের সহকারী প্রধান বন সংরক্ষক ডক্টর মরিয়ম আক্তার।
পরিবেশ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও কর্মকর্তাদের ২য় ব্যাচে ১ম পুরস্কার পান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম ও মো: হাসান হাসিবুর রহমান, ২য় স্থান অধিকার করেন উপপরিচালক মো: ইলিয়াস মাহমুদ এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত সাদমীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: মাহমুদ হাসান ও সহকারী পরিচালক জাওয়াতা আফনান। পুরস্কারপ্রাপ্তদের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মহামূল্যবান বই ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
এসময় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর পূর্বে শব্দদূষণ রোধকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ প্ল্যাকার্ড নিয়ে সচিবালয়ের গেটে অবস্থান গ্রহণ করেন। এসময় তাঁরা ড্রাইভারদের অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি না করতে অনুরোধ করেন এবং বিভিন্ন গাড়িতে শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা মূলক স্টিকার বিতরণ করেন।