রাজধানী প্রতিনিধি: মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান একজন গর্বিত খামারী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর যে কতটা উন্নত হয়েছে খামারী হিসেবে তা তিনি নিজেই উপলব্ধি করেন। তার খামারে তিনি গরু, ছাগল, হাঁস মুরগি, কবুতর সহ নানা প্রাণি পালন করেন এর পাশাপাশি তিনি মাছও চাষ করেন। এই সেক্টর যে শুধু প্রাণিজ আমিষই সরবারাহ করছে তা নয়, এর পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদে বিপুল সংখ্যক বেকার ও শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা হয়েছে।
৩০ নভেম্বর ২০২৩, রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিনব্যাপী ৫ম আহকাব আন্তর্জাতিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
১২০ টি গরু লালন-পালনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে বাদলা, তড়কা, ক্ষুরা সহ নানা রোগের প্রকোপ দেখতে পেতেন খামারে যা এখন নেই বললেই চলে। এসবই সম্ভব হয়েছে এই সেক্টরে জড়িত কৃষক, খামারি, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, গবেষক, সর্বোপরি এই সেক্টরের সমগ্র স্টেকহোল্ডার অক্লান্ত পরিশ্রমে। এজন্য তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুধ উৎপাদনে আমরা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই সেক্টরে আমাদের অবস্থান এখন সুসংহত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এ সেক্টর কার্যকর অবদান রাখতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আহকাবের প্রেসিডেন্ট সায়েম উল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ নাহিদ রশিদ। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মো এমদাদুল হক তালুকদার এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খঃ মাহবুবুল হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মোহাম্মদ আফতাব আলম। অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে প্রাণিজ ও মৎস্য খাতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা সংক্রান্ত বিষয়ে দুইটি গবেষনাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
মেলায় বাংলাদেশ, চীন, মিশর, আর্মানী, ভারত, পোল্যান্ড, দক্ষিন কোরিয়া, রোমানিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতনামা অনেক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে এবং এ্যানিমেল হেল্প সেক্টরে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য ও উপকরনাদি উপস্থাপন করা হচ্ছে। মেলা চলাকালীন সময় কোন প্রকার প্রবেশ ফি ছাড়াই যে কোন দর্শনার্থী মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, ৩ দিনব্যাপী এই মেলা আগামী ২ ডিসেম্বর ২০২৩ইং পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০:০০ ঘটিকা থেকে সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকা পর্যন্ত চলবে।