এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) পরিচালনা বোর্ডের ১৭তম সভা বোর্ডের সভাপতি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপির সভাপতিত্বে রাজধানীর ওয়ারপো সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ও বোর্ডের সদস্য সচিব প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি তুলে ধরেন।
তিনি জানান পানি সম্পদের উন্নয়নকল্পে পরিবেশগতভাবে ভারসাম্যপূর্ণ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা;বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ সম্পর্কিত জাতীয় কৌশল ও নীতি নির্ধারণ করা;উন্নয়ন, ব্যবহার ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাকে পরামর্শ প্রদান করা;উন্নয়ন, ব্যবহার ও সংরক্ষণে নিয়োজিত যে কোন প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা পরিচালনায় সহযোগিতা প্রদান এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয়ে বিশেষ সমীক্ষা পরিচালনা করা;উন্নয়ন, ব্যবহার ও সংরক্ষণে নিয়োজিত কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা হতে উদ্ভূত বিষয়ের মূল্যায়ন ও পর্যালোচনাকরা এবং উক্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা; পানি সম্পদের ব্যবহার সংক্রান্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পেশাগত মান উন্নত করা; ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা এবং প্রচারের ব্যবস্থা করা; জাতীয় এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে আন্তর্জাতিক সেমিনার, সম্মেলন ও কর্মশালার আয়োজন ও পরিচালনা করা; সরকার কর্তৃক প্রদত্ত পানি সম্পদ বিষয়ক অন্যান্য দায়িত্ব পালন করে থাকে।
এছাড়া এপর্যন্ত জনঅবহিতকরণের জন্য ৩৭টি কর্মশালা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন কমিটি করা হয়েছে; তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে কাজ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, কোন এলাকায় কতটি টিউবওয়েল আছে তার সঠিক তথ্য থাকা দরকার এছাড়া কোন এলাকায় কি পরিমান টিউবওয়েল প্রয়োজন তা নির্ণয় করে ব্যবস্থা নিতে হবে; এক্ষেত্রে সব সংস্থাকে একসাথে কাজ করতে হবে। বড় পুকুর বা দীঘি থেকে বাড়িতে পানির লাইন দিয়ে পানি সরবরাহ ভূগর্বস্থ পানির চাপ কমাবে। ডিপ টিউবওয়েল বসানোর ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় হলে আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে। শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত পানির রাজস্ব/রয়্যালিটি নির্ধারণ নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো শক্তিশালীকরণের বিষয় উঠে আসে আলোচনায়।
সভায় ভূগর্ভস্থ পানির সঠিক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অতিরিক্ত টিউবওয়েল ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিনে দিনে নিচে নেমে যাচ্ছে যা ভবিষতের জন্য অশনিসংকেত। বিদ্যমান গভীর নলকুপ বসানোর ক্ষেত্রে আইনের প্রতিপালন সঠিকভাবে কার্যকর করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর পত্র প্রেরণ ও যোগাযোগ করে সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়া হয়।
উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন; যে কাজ না করলেই নয় শুধু সে কাজের জন্য বাজেট চাইতে হবে যেহেতু সরকারের নিদের্শনা রয়েছে সব ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে। তাই এই অর্থবছরেও পূর্বের অর্থবছরের সমপরিমান বাজেট চাওয়ার জন্য বলেন। যদি টাকা প্রয়োজন হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে বাজেট নেয়া যাবে।
বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন একেএম ফজলুল হক (সহ সভাপতি) কৃষি,পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ, সদস্য, পরিকল্পনা কমিশন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মামুন-আল--রশিদ (সদস্য), সচিব,পরিকল্পনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী (সদস্য) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; ড.ফারহিন আহমেদ (সদস্য), সচিব, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; সঞ্জয় কুমার বণিক (সদস্য) অতিরিক্ত সচিব, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়; মো: ইসুফ আলী মোল্লা, (সদস্য) অতিরিক্ত সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; মো:মশিউর রহমান (সদস্য) যুগ্ম সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়।