এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:চলমান আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ০৬টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। এছাড়া সেচের প্রয়োজনে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা নিশ্চিত করবে বলে জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণে’ করণীয় বিষয়ক সভা শেষে কৃষিসচিব এ কথা বলেন।
সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় কৃষিসচিব বলেন, এবার আমনে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ লাখ হেক্টর, যার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৭ লাখ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৭০% ও সন্তোষজনক। বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে লক্ষ্যমাত্রার ৯৮% অর্জিত হয়েছে। এ মাসের মধ্যে যাতে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জন করা যায় এবং রোপণের পর অন্তত ৩০ দিন যাতে সেচ নিশ্চিত করা যায়, সেলক্ষ্যেই আলোচনা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে আমনের ক্ষতি পোষাতে পারব। আমরা কৃষকের সাথে থেকে, পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি যাতে করে খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে পারি।
আলোচনা সভায় চলমান আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণের নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:-
• রাত ১২টা থেকে ভোর ০৬টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করবে বিদ্যুৎ বিভাগ,
• সেচের প্রয়োজনে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা নিশ্চিত করবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্যারাও এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে,
• সেচের সুবিধার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের বৃহৎ সেচ প্রকল্পগুলো চালু করেছে। অন্যগুলোও শিগগিরই চালু করবে,
• উপজেলা সেচ কমিটি দ্রুত মিটিং করে সেচের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং সে অনুযায়ী সেচের ব্যবস্থা করা হবে।
• আমনে বাড়তি সেচের জন্য কৃষকদের অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে নগদ সহায়তা প্রদানের বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয় বিবেচনা করছে।
• বৃষ্টির অভাবে যারা ধানের চারা উৎপাদন করতে পারে নি, তাদেরকে কৃষি মন্ত্রণালয় হতে বিনামূল্যে চারা প্রদান করা হবে।