৬ষ্ঠ বারের মত অনুষ্ঠিত হলো BSAPER-এর সেমিনার

রাজধানী প্রতিবেদক:বাংলাদেশ সোসাইটি ফর এনিম্যাল প্রডাকশন এডুকেশন এ্যান্ড রিসার্চ (বিএসএপিইআর)-এর আয়োজনে ৬ষ্ঠ বারের মত অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী সেমিনার। আজ রবিবার (২৮ আগস্ট ২০২২) ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মিলানায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "Innovative Technologies for Animal Production: Bangladesh and Global Perspective."

বিএসএপিইআরের সভাপতি প্রফেসর ড. এম এ ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাজেদা আকতার উপস্থিত ছিলেন।



সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্রগাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস ইউভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী সভাপতি ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিউটের (বিএলআরআই) মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, কাজী ফামর্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী জাহেদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।



সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসএপিইআর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এ কে এম আহসান কবীর। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিউটের (বিএলআরআই) সাবেক মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার।



সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রাণিসম্পদের মাধ্যমে আমরা জনগণের আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছি। মাংস উৎপাদনে আমরা বর্তমানে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। ডিম উৎপাদনেও অচিরেই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারবো। দুধ উৎপাদনে আমরা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য যে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা আমাদের সামনে রয়েছে, এর ৯টির সঙ্গে প্রাণিসম্পদ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত।



বক্তারা আরো বলেন, ক্ষুধা দূরীকরণ, দারিদ্র্যমুক্ত জাতি গঠন, সবার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিতকরণের মতো লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে প্রাণিসম্পদ সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা আছে সেগুলা মোকাবেলা করতে হবে। সবার সম্মিলিত উদ্যোগে এ চ্যালেঞ্জ ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রাণিসম্পদের খামারী, গবেষক, সম্প্রসারণকর্মী সবাইকে নিয়ে কাজ করার আহবান জানান তারা।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে প্রাণিসম্পদের সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। এছাড়াও সেমিনারের পাশাপাশি পোস্টার প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করে আয়োজকরা।