এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম দেশি-বিদেশি বিড়াল প্রদর্শনী ও বিড়ালের র্যাম্প শো দেখতে সমাগম হয়েছিল প্রায় ১০ হাজারের অধিক দর্শক। উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে আয়োজকদের। লিও, রিও সুকি, মিনি, আদর, শিম্বা, পুষি, জোজো, টুকু, টাইগারসহ দেশি-বিদেশি বাহারি জাতের শতাধিক বিড়ালের মেলা হয়ে গেল চট্টগ্রামে। এসিআই এনিমেল হেলথ্ -এর সৌজন্যে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বন্দরনগরীর ওয়ার্লেস মোড়ে বার্ডস অ্যান্ড পেট এনিম্যাল ক্লিনিক এ মেলার আয়োজন করে।
একটি বিড়ালের চোখে চশমা। কোনো বিড়ালের গলায় ঘণ্টা। পরনে দামি বেল্ট, বাহারি সাজ সজ্জায় সাজিয়ে এনেছেন পোষা প্রাণি প্রেমীরা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি তিনটি জাতের ১৫টি বিড়াল প্রদর্শিত হয়। যার মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণের জন্য বিড়ালের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিড়ালের ‘র্যাম্প শো’ অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় বিনামূল্যে প্রাণির ভেটেরিনারি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
বার্ডস অ্যান্ড পেট এনিম্যাল ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষ পোষাপ্রাণির সম্পর্কে জেনেছে এবং মানুষের মধ্যে প্রাণির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। পরে প্রদর্শনীটি আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে। আজ প্রায় ১০০টির বেশি পোষাপ্রাণির চিকিৎসা প্রদান করা হয় বলে জানান তিনি।
আয়োজকরা বলছেন, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা, আর্থিক উন্নতির পাশাপাশি মানুষ নিজের মানসিক প্রশান্তির উদ্দেশ্যে পালন করছে বিভিন্ন প্রজাতির পোষাপ্রাণি। যাদের মাধ্যমে মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ও মানবিক গুণাবলি প্রকাশ পাচ্ছে। মানুষের এই প্রশান্তির ধারক ও বাহকের মধ্যে বিড়াল অন্যতম। করোনাকালীন সময়ে পোষাপ্রাণির প্রতি মানুষের ভালোবাসার বহি:প্রকাশ ছিল লক্ষণীয় বর্তমানে তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসিআই এনিমেল হেলথ্ এর ডিরেক্টর (সেলস্) ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, প্রদর্শনীটির মূল উদ্দেশ্য হলো বিড়ালের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করা। পোষা প্রাণীকে কেবল পালন করলেই হবে না এর সঠিক যত্ন নেয়া জরুরি। খাবার থেকে শুরু করে, পুষ্টি রোগ-বালাই থেকে সুরক্ষা দিতে সকল প্রাণিদের জন্য এসিআই এনিমেল হেলথ্ সব সময় সচেতন। বিড়ালসহ অন্য পশু-পাখিদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়ানোই এসিআই-এর মূল লক্ষ।
এসিআই এনিমেল হেলথ-এর ক্যাটেল পোর্টফলিও প্রধান ও মার্কেটিং ম্যানেজার ডা. মোঃ ফয়সাল ফেরদৌস বলেন, আদরযত্নে একটু কমতি হলে বিড়াল বেশ অভিমান করে। একাকিত্বের সঙ্গী হিসেবে বিড়ালের মতো বন্ধু আর হয় না। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও বিড়ালের সঙ্গ খুবই উপকারী। বিড়াল বন্ধুসুলভ এক প্রাণী যা সহজেই মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।
প্রদর্শনীতে নাহার এগ্রো-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাকিবুর রহমান (টুটুল), চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর-এর পরিচালক ডাঃ এ. কে. এম হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়-এর ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ-এর ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসিআই এনিমেল হেলথ-এ পণ্যগুলি সারা দেশের পেট প্রেমীরা সাদরে গ্রহণ করেছে। আগামীতে তাদের সেবা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে এ সেক্টরে কার্যকর অবদান রাখবে এমনটাই আশা করেন উপস্থিত পোষাপ্রাণি প্রেমীরা। এ ধরনের আয়োজনে তারা পোষাপ্রাণির সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছেন। এজন্য তারা এসিআই এনিমেল হেলথ্ ও বার্ডস অ্যান্ড পেট এনিম্যাল ক্লিনিক-এর সকল কর্মকর্তাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানান। আগামীতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজনের প্রত্যাশা তাদের।
প্রদর্শনীতে এসিআই এনিমেল হেলথ-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জনাব দেলোয়ার হোসেন খান, চট্টগ্রাম-এর সেলস্ ম্যানেজার ডাঃ মোঃ আরশাদুল হাকিম চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।