এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশ'র উদ্যোগে কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর-এর প্রতিনিধি ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের এক টাউন হল মিটিং অদ্য ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখ চকরিয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে আইএসডিই কর্মসূচি সমন্বয়কারী জাহাংগীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, আলোচক হিসেবে উপস্থিত চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাকিব আল রাশিক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আবদুল মতিন, চকরিয়া সহকারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আনোয়ার।
আলোচনায় অংশ নেন ওছমান গণি, এরফানুল কবির, খাইরুল আলম, মোঃ এরফানুল কবির, মামুনুল ইসলাম, সাহাব উদ্দিন, ছরওয়ার কামাল, রাশেদুল হাসান, রেজাউল করিম, বিজন কুমার বিশ্বাস, মুজিবুর রহমান, জালাল উদ্দীন, সুধীর চন্দ্র দাশ, আবদুল্লাহ মোঃ ফাহিম প্রমুখ।
বক্তরা কোভিড় সংক্রমণরোধে ভ্যাকসিন গ্রহনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বক্তরা আরও বলেন, চকরিয়া উপজেলায় ১ম ও ২য় ডোজ কোভিড় টিকা গ্রহনের হার ৭০% হলেও ৩য় ডোজ গ্রহনের হার এখনও ২০% এর কাছাকাছি। কোভিড সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধির কঠোরভাবে মেনে চলার পাশাপাশি টিকা গ্রহণ জরুরী। সচেতনতা অভাবে ও ভ্রান্ত ধারনায় বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও টিকা গ্রহণ করছে না। যদিও সরকারের কাছে বিপুল পরিমান কোভিড-১৯ টিকা মজুদ আছে।
বক্তারা ডায়রিয়া প্রতিরেোধ ও শিশু ও মাতৃ মৃত্য হার রোধে যেভাবে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগে সচেতনতা সৃষ্টি করে সফলতা অর্জন করেছে সেভাবেই করোনা মোকাবেলায় ব্যাহকহারে সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় সরকারী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারী স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্টানের প্রতিনিধিসহ মোট ৩২ জন অংশগ্রহন করেন।
উল্লেখ্য, আইএসডিই বাংলাদেশে এনজিও'দের সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান এডাব ও ইউনিসেফ-এর সহায়তায় "কোভিড-১৯ প্রতিরোধঃ ঝুঁকি নিরুপণ যোগাযোগ, জনসম্পৃক্ততা এবং টিকা-বার্তা যোগাযোগ জোরদারকরণ" শীষক একটি প্রকল্প চকরিয়া উপজেলায় বাস্তবায়ন করছে। উক্ত টাউনহল মিটিং এই প্রকল্পের আওতায় করা হয়।