মো: দেলোয়ার হোসেন:শস্য কর্তনের মাধ্যমে ফসলের ভাল ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় এবং ফসল চাষে ভুলক্রুটি সংশোধন করে নেয়া যায় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামছুল ওয়াদুদ। তিনি বলেন, নওগাঁ জেলা হচ্ছে আমন ধান উৎপাদনের প্রধান এলাকা। তারমধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলা হচ্ছে অন্যতম। এবছর উপজেলায় আমন ধানের ব্যাপক আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভাল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তন্মর্ধে ব্রি ধান-৭৫ উত্তম। ব্রি ধান-৭৫ জাতের ধানের জীবনকাল স্বল্পমেয়াদী। ফলে এই ধান কর্তন পরবর্তী সময়ে সরিষা, আলু ও গম চাষ করা সম্ভব। বিশেষ করে আমন ও বোরো ধান আবাদের মধ্যবর্তী সময়ে দেশের তেল ফসলের চাহিদা পূরণে সরিষার আবাদ করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, ফসলের নমুনা শস্য কর্তনের মাধ্যমে সহজেই সকল সমস্যা প্রতিয়মান হয় বলে নমুনা কর্তনের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি উপস্থিত কৃষকদের ধান চাষের পাশাপাশি তেল ফসল হিসেবে সরিষা, গম, ডাল ও বিভিন্ন শাক-সবজি চাষে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
গত ২০ অক্টোবর/২০২২ নওগাঁর সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে পৌরসভা ব্লকেরবোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক মো: জামিল উদ্দিন এর গোলাকৃতি ২০ বর্গমিটার মাপের জমিতে ব্রিধান-৭৫ জাতের আমন ধানের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়। কর্তন শেষে মাড়াই-ঝাড়াই করে ধানে ফলন হেক্টরে ৬.৫৭ মেট্রিক টন পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা নাজনীন এর সভাপত্বিতে নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামছুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ এ কে এম মঞ্জুরে মওলা, অতিরিক্ত উপ পরিচালক (পিপি) কৃষিবিদ ড. মো: আনোয়ারুর ইসলাম।
ধান কর্তন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, শস্য কর্তনের মাধ্যমে ধানের ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় এবং স্বল্প মেয়াদী ধান আবাদ করে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া যায় এবং আরো একটি ফসলের আবাদ করা সম্ভব হয়। তিনি কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীগণ কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে সহায়তাদানে আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, আদর্শ কৃষকসহ প্রায় ৭০ জন উপস্থিত ছিলেন।