এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য (এসজিডি) অর্জনে এবং কৃষি উদ্ভাবনকে কার্যকরভাবে ব্যবহারে প্রান্তিক কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রমাণ-ভিত্তিক কৃষি সংবাদ প্রচারে কক্সবাজারের গণমাধ্যমকর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি) নভেম্বর ২২, ২০২২, কক্সবাজারে একটি হোটেলে একটি প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের সংবাদ মাধ্যমের ২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর ড.তোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বা উন্নয়ন করতে চাইতে জীবপ্রযুক্তির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়বে। সে বিবেচনায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। একারনে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। দেশে বর্তমানে ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজে জড়িত।
কিন্তু সঠিক উপায় না জানার কারনে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গনমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকার রাখতে পারে বলেনও মন্তব্য তাঁর। কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের উদ্যেগে আয়োজিত কর্মশালায় শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তোফাজ্জল হোসেন এসব কথা বলেনে।
কক্সবাজারের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার দিন ব্যাপী কর্মশালার আযোজন করে সংস্থাটি। নলেজ শিয়ারিং এন্ড ক্যাপসিটি বিল্ডিং অন এগ্রিকালচার মিডিয়া রিপোর্টিং শিরোনামে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, এফএফবি’র সিইও এবং নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসাইন। বক্তব্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের প্রচার মাধ্যমে কৃষিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকার রাখেতে পারে। মাঠের ফলন বৃদ্ধির লক্ষে একজন কৃষকের আধুনিক প্রযুক্তিসহ জীব প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযত তথ্য পৌছে দেয়ার গুরুত্বপূর্ন কাজ হলো সাংবাদিকের। সে কাজ সঠিক ভাবে পৌঁছানো হলে দেশে কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার ফারুক হাসান বলেন, বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরি করতে হলে বিজ্ঞানের সকল স্তরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার সাদিক উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য নিরপাত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফসল উৎপাদনের প্রতি আরো বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জেনেটিক্যালি মোডিফাইড অর্গানিজম বা জিএমও এর উপর গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বিজ্ঞানের কল্যানের উচ্চ ফলনশীল যেকোন ফলস দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করে।
প্রথম আলোর কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান আব্দুল কুদ্দুস রানা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিক্ষামূলকভাবে সোনালী ধান এখন মাঠে এসেছে। প্রযুক্তির এই কল্যান মাঠ পর্যায়ের কৃষকদেও কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ক্ষেত্রেও কৃষকদের নানামূখী সুবিধা দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
দিনব্যাপি কর্মশালায় কক্সবাজার জেলার কর্মরত ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন। কর্মশালা শেষে সাংবদিকদেও সনদ বিতরন করা হয়।