মো: আমিনুল ইসলাম:রোপা আমন ধান কেটে মাড়াই শেষ হতে না হতেই বোরো ধান আবাদের ব্যাপক প্রস্তুতি। শীতকে উপেক্ষা করে বীজতলা তৈরি করা থেকে শুরু করে চারা রোপণ করা পর্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটে চাষিদের। ইতোমধ্যে রাজশাহী অঞ্চলে বোরো উৎপাদনে বীজতলার পরিচর্যা জমি তৈরিতে চাষিদের কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছে। আর লক্ষ্যমাত্রা প‚রণে সার, বীজ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। গোদাগাড়ী উপজেলায় সুবিধাভোগী ৫১০০জন কৃষককে উফশী জাতের বীজ ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং ১০২০০ জন কৃষককে হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।
গোদাগাড়ীতে রবি/২০২২-২৩ মৌসুমে বোরো ধানের উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ও হাইব্রিড জাতের ধান ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গোদাগাড়ী, রাজশাহীর আয়োজনে গত মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) উপজেলা পরিষদ চত্বরে গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের নির্বাচিত মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন গোদাগাড়ীর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ৫ নং গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপাধ্যধক্ষ মো: মজিবর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সুধীজনদের স্বাগত জানিয়ে গোদাগাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ বলেন, গোদাগাড়ি উপজেলায় ১৫ হাজার ৩০০ জন কৃষককে সরকারি এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই উপজেলায় এখন কৃষক জমি ও বীজতলা তৈরিতে কাজ করছেন। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
প্রধান অতিথি বলেন, উচ্চ ফলনশীল জাত আবাদ করে অধিক ফলনের জন্য সরকার এ প্রণোদনা সারা দেশে বিতরণ করছেন। তিনি আরো বলেন সারা বিশ্ব আজ অর্থনৈতিক সংকটে। কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে, তীল পরিমান জমি যেন পতিত না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। পরিশেষে তিনি এ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করার জন্য সবাইকে বেশি বেশি চাষাবাদ করে খাদ্য উৎপাদনের আহবান জানান ।
অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, কৃষাণ-কৃষাণী এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধিসহ প্রায় প্রায় ১০০০ জন উপস্থিত ছিলেন।