কে এস রহমান শফি, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিস্তীর্ন এলাকায় এবারে বোরো ধানের ফলন বাড়াতে ‘আদর্শ বীজতলা’ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে সুন্দর আদর্শ বীজতলা স্থাপিত হয়েছে। বোরো ধানের ফলন বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে এসব আদর্শ বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
গত বৃহস্পতিবার আদর্শ বীজতলা পরিদর্শন করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের উপ পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর, জেরা প্রশিক্ষণ অফিসার আজম আহসান শহীদ সরকার কাজল, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আনোযার সাদাত।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাঠে মাঠে এবং পথের ধারে এখন দেখা মিলবে আদর্শ বীজতলা। কালিযা হরিপুর ইউনিয়নের সিরাজগঞ্জ-কড্ডা সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে আদর্শ বীজতলা। তিন ফুট দূরে দূরে সাড়িতে লাগানো হয়েছে বোরো ধানের চারা। দু’লাইনের মাঝ খানে ডেন । সেখান দিযে পানির প্রবাহ। সবুজে সবুজে ছেয়ে আছে পুরো বীজতলা। যেকোন ধরনের পরিচর্যা করতে পাবছে কৃষকরা সহজেই। এ ধরনের বীজতলাকেই রলা হয় ‘আদর্শ বীজতলা’। এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে স্থানীয় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হামিদুল ইসলামের পরামর্শে।
কারিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বারাকান্দি গ্রামের সানাউল্লাহ মিযা ও শাহাদুল ইসরাম বলেন, স্থানীয় কৃষকরা প্রতি বছরই আদর্শ বীজতলা স্থাপন করেন। এতে বীজ সাশ্রয় ও ফলন ভালো হয়। সব ধরনের পরিচর্যাও সহজেই করা যায়।
কৃষক এমদাদুল হক ইকদুল ও আবদুল মজিদ শেখ জানান, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনে সহজেই ব্যবস্থা নেয়া যায়। সেচ দেয়ার প্রয়োজন হলে তাও দেয়া যায়। এজন্যই আমরা সবসময় আদর্শ বীজতলা স্থাপন করে থাকি।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হামিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রতিবছরই এভাবে আদর্শ বীজতলা স্থাপন করা হচ্ছে। কৃষকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তাদের বোরা ধানের প্রণোদনার বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিতে অবদান রাখছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আনোয়ার সাদাত বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় অধিকাংশ জমিতেই আদর্শ বীজতলা স্থাপন করা হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষিতে তাদের অবদান বাড়ছে। এবছর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৯৩৪ হেক্টর বীজতলার মধ্যে ৪৮৪ হেক্টর আদর্শ। এর মধ্যে ৭৪ হেক্টর হাইব্রিড ও ৪১০ হেক্টর উফশী জাতের।