এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সমর্থনকারী গ্রুপ "কোস্টাল ১৯" ১৪ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল আলবার্টায় (রেডডিয়ারে) এক আলোচনায় মিলিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কানাডা প্রবাসী লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক, বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ।
স্টেপ টু হিউম্যানিটি কানাডার সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসেন আগত অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যালগারি থেকে আগত মমতাজ আলী। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন কৃষিবিদ ড. আশরাফুল আলম, মেসফাকুল আরেফিন ও মশিউর রহমান।
কৃষিবিদ ড. আশরাফুল আলম বলেন সমগ্র বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উপকূলীয় এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম করছে। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং লবণাক্ততার অনুপ্রবেশে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে । ১৯টি জেলার সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চল ও অধিবাসীদের নিয়ে এখনো পূর্ণাঙ্গ কোনো গবেষণা হয়নি। সমুদ্র অর্থনীতির লক্ষ্য অর্জনে ১৯ জেলার স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংযোগ স্থাপন দরকার।
বীর মুক্তিযোদ্বা দেলোয়ার জাহিদ বলেন, বাংলাদেশের ১৯ জেলায় সুরক্ষিত নয় এমন সব গোষ্ঠীকে সংগঠিত করার প্রচেষ্টা নিয়ে বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সহায়তায় কাজ করছে কোস্টাল ১৯ (বাংলাদেশ)। কক্সবাজারের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পালস্ পরিচালিত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সেবা কেন্দ্র পালস্ বানি একাডেমি স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় অনন্য নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ তায়কুয়ান্ডো ফেডারেশনের ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন এর মাধ্যমে। একাডেমির ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত পাঁচজন সুবিধা বঞ্চিত মেয়েশিশু দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী রেখামনি, একই শ্রেনীর রিয়া মণি, ৯ম শ্রেণীর সাদিয়া, দশম শ্রেনীর রাজিয়া এবং ৮ম শ্রেনীর তানিয়া এখন আত্মপ্রত্যয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে জাতির সামনে।
তিনি আরো বলেন, সমূদ্র অর্থনীতিকে টেকসই ও চিরস্থায়ী করতে হলে ১৯ জেলার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, অধিকতর সুরক্ষা সহ উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক মিলিয়ন মানুসের দারিদ্র্য দূর করতে হবে। ব্যবসা বাণিজ্যে যুবক, যুবতী ও আগ্রহীদের কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স ভেলু চেঞ্জ গ্রূপের মতো সংগঠিত করতে হবে তা হলেই সফলতার স্বর্ণদ্বার খুলে যাবে।
কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসেন ও আসমা হোসেন আগতদের নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন।