কাজী কামাল হোসেন,নওগাঁ:নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল হচ্ছে মিরাট গ্রাম। এই গ্রামে ১৮৯৫সালে প্রতিষ্ঠিত মিরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর একপাশে ১৯৯০সালে প্রতিষ্ঠিত মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়। এই দুই বিদ্যালয়ের যাতায়াতের জন্য মাঝে রয়েছে একটি রাস্তা। যে রাস্তাদিয়ে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীরা প্রতিনিয়তই চলাচল করে। কিন্তু দীঘদিন যাবত ঢালাই করা রাস্তাটি ভেঙ্গে পুকুরগর্ভে বিলীন হলেও তা মেরামত করার প্রতি দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি নির্মাণ করার চারমাস পর যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে কি পরিমাণ নিম্ম মানের কাজ করা হয়েছিলো তা বোঝা যায়। প্রতিদিনই শিক্ষার্থীসহ শত শত গ্রামের বাসিন্দাদের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে পায়ে হেটে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। এতে করে প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন বলেন, আনুমানিক দেড়বছর আগে এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়। পুকুরপাড়ে পালাসাইড না দিয়ে শুধুমাত্র কয়েকটি পিলারের সঙ্গে ইটের গাঁথুনির উপর ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা হয় জনগুরুত্বপূর্ন এই রাস্তাটি। নির্মাণের প্রায় ৪মাস পরই ইটের গাঁথুনি আর পিলার পুকুরগর্ভে ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে রাস্তাটির ৪ভাগের ৩ভাগই ভেঙ্গে পুকুরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সামান্য একটু অংশের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে কোনমতে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে চলাচল করতে গেলেই পা পিছলে পুকুরের মধ্যে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ইতিমধ্যেই স্কুলে চলাচল করার সময় শিশুসহ অনেক শিক্ষার্থী মনের অজান্তে পুকুরে পড়ে গিয়ে ঘটেছে দুর্ঘটনা। তাই অতিদ্রুত দীর্ঘস্থায়ীভাবে এই রাস্তাটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি এই উপজেলাতে নতুন। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত এই রাস্তাটিকে মেরামত কিংবা সংস্কার করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।