সমীরন বিশ্বাস:দেশের কৃষি অর্থনীতির অন্যতম শস্য হিসেবে ভুট্টা এখন কৃষকদের লাভের খাতায় নাম লিখিয়েছে। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান পোল্ট্রি ডেইরি ও মৎস্য সেক্টরে খাদ্য তৈরিতে সিংহভাগ যোগান দেয় এই ভুট্টা। বর্তমান সময়ে এর বাজার দরও অত্যন্ত ভালো। সেসব দিক লক্ষ্য করে ভুট্টা চাষীদের এর চাষ বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ভুট্টার পাতা ঝলসানো রোগ দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
এ রোগের আক্রমনে নিচের পাতায় বাদামী ধারযুক্ত বিবর্ণ ও হীরাকৃতি থেকে লম্বাটে ক্ষত দেখা যায়। এ ক্ষতগুলো বিভিন্ন আকারের হয় এবং পাতার শিরা থেকে বর্ধিত হয়। সংবেদনশীল চারাগাছে সেগুলো একত্রিত হয়ে যায় ফলে পাতার বড় অংশ জুড়ে সম্পূর্ণরূপে ঝলসে যায়। রোগের পরবর্তী ধাপে কব/ফলে ধূসর আস্তরণ পড়ে এবং বিকৃত হয়ে যায়।
রোগের নামঃ ভুট্টার পাতা ঝলসানো রোগ
লক্ষণঃ প্রথমে পাতার নিচের দিকে লম্বা ধুসর দাগ হয়। পরে তা পাতার উপরের দিকেও দৃশ্যমান হয়। একপর্যায়ে পাতা শুকিয়ে যায় এবং গাছ মারা যায়।
সমন্বিত ব্যবস্থাপনা:
১. প্রত্যায়িত/মানঘোষিত বীজ বপণ করুন।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতের চাষ করুন।
৩. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতের।
৫. ফসল কাটার পর আক্রান্ত গাছ পুড়িয়ে দিন বা অপসারণ করুন।
৬. মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার দিন।
৭. সঠিক দূরত্বে/ পদ্ধতিতে চারা রোপন করুন
৮. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।
৯. একই জমিতে বারবার ভুট্টা চাষ না করে পর্যায় ক্রমে চাষ করা।
রাসায়নিক দমন ব্যবস্থা:
শুরুতেই প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক যেমন কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের এগবেন এবং ডাইক্লোরান গ্রুপের আর্নিলিন নিয়ম মত প্রয়োগ করা। ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে ।ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
লেখক:লিড-এগ্রিকালচারিস্ট, মদিনা টেক লিমিটেড, ঢাকা।