কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ: যক্ষা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সুশীল সমাজের করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) নওগাঁ জেলা।
আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নওগাঁ শহরের প্যারীমোহন সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুনির আলী আকন্দ বলেন, আমাদের একটা টার্গেট আছে ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষায় যে মৃত্যুর হার তা একেবারে শূণ্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনা। যারা যক্ষা রোগী হিসেবে সনাক্ত হয়েছে তাদের পরীক্ষা ও চিকিৎসার আওতায় আনা।
বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব), নওগাঁ জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউর রহমান বাবলুর সভাপতিতে এ সময় নওগাঁ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার কাকলী এবং নাটাবের ফিল্ড লেভেল ষ্টাফ মো: কামরুল ইসলাম সহ উন্মুক্ত আলোচনাপর্বে জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: কায়েস উদ্দিন, সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক, সাবেক সাধারন সম্পাদক ফরিদুল করিম বক্তব্য রাখেন।
ডা. মুনির আলী আকন্দ বলেন, আমরা সবাই মিলে কাজ করলে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে যে টার্গেটা সেটা পুরুন করতে পারবো। তা না হলে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যবিভাগ বা যক্ষা বিভাগের ডাক্তারদের একার পক্ষের সম্ভব নয়।
ডাক্তার কাকলী বলেন, টিভি রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার মধ্যে আনতে পারলে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। টিভির সিমটমগুলো যা থাকে তা আপনারা জানেন। যেমন সন্ধ্যাকালীন জ্বর, রাতে ঘাম, দুই সপ্তাহের বেশি কাশি, ওজন কমে যাচ্ছে, বমি বমি লাগা। আপনারা যদি সন্দেহজনক মনে করেন তাহলে তাকে পরীক্ষার আওতায় আনবেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, নাটাবের জেলা কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় সর্বশেষ কোয়ার্টার সেপ্টেম্বর হতে ডিসেম্বর' ২০২২ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩শ ৯৬ ব্যাক্তির পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭২ ব্যাক্তির যক্ষা সনাক্ত হয়েছে। সরকারি ভাবে তাদের চিকিৎসা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।