মোঃ আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি: বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান ও গতিময় করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশে রূপান্তর হবে।
১৭ এপ্রিল (সোমবার) বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় আমরুল ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে নগর আজিরন রাবেয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী/২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের আমাদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা কেন দিয়েছেন? কারণ উনি জানতেন যে কৃষি বাংলাদেশের বড় অর্থনৈতিক শক্তি। এইজন্য কৃষিতে মেধাবী বিজ্ঞানীদের আসতে হবে আর মেধাবীদের আনতে হলে তাদেরকে মর্যাদা ও বেতন বাড়াতে হবে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে কৃষির উন্নয়নের জন্য ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা দিয়েছেন। ২০০৮ সারের দিকে ভুট্টা যে কোন ফসল, এটা কেউ জানতো না আর বর্তমানে ভুট্টার ফলন অনেক ভালো হচ্ছে। ঐ সময় সবজির উৎপাদন ছিল মাত্র তিন মিলিয়ন টন, আর বর্তমান এখন ফলন দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ২০ লক্ষ মেট্রিক টন। এটি সবই সম্ভব হয়েছে আপনাদের চেষ্টা এবং বর্তমান সরকারের কৃষিতে গুরুত্ব দেওয়ার কারনে। প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই, যে কোন মূল্যে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যেটুকু সুযোগ আছে, তার সবটুকু আমরা কাজে লাগাতে চাই।
নগর আজিরন রাবেয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভপতি মো: মাশফিকুর রহমান পরাগ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া ৭ আসনের মাননীয় সাংসদ মো: রেজাউল করিম বাবলু , বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলার সাধারন সম্পাদক ও বগুড়া ৬ আসনের মাননীয় সাংসদ রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খলিল আহমদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ, বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মো: মকবুল হোসেন, বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের সাবেক রেজিষ্টার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজিবুর রহমান।
এরপর তিনি সেখানে স্বাধীনতা মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। এখানে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর হতে স্থাপিত স্টল গুলি পরিদর্শন করেন এবং আধুনিক কৃষি তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ স্টল গুলোতে স্থাপিত বিভিন্ন ডিসপ্লে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তিনি বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে কৃষি মন্ত্রণালয় আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ২৫০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।