এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় হালতি বিলের পাটুল এলাকায় কৃষকের বহুল প্রতীক্ষিত বোরো ধানকাটা শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত এর উদ্বোধন তরেন নাটোর জেলার জেলা প্রশাসক জনাব আবু নাছের ভূঁঞা।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুর রহমান, পিপিএম, পুলিশ সুপার, নাটোর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, রোজিনা আক্তার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নাটোর, মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, নির্বাহী প্রকৌশলী, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, নাটোর, নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোছাঃ ফৌজিয়া ফেরদৌস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং হালতি বিলের কৃষক কৃষাণী গণ।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কৃষকদের কৃষির সার্বিক উন্নতিতে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। চলমান তাপদাহ এবং ঝড়ো বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় সকল কৃষককে সম্ভব হলে কম্বাইন্ড হারডেন্টর দিয়ে ধান কাটার অনুরোধ করা হয়। এসময় সম্মানিত অতিথিগণ কম্বাইন্ড হারভেস্টর দিয়ে ধান কর্তন পরিদর্শন করেন এবং হাত কাঁচি দিয়ে নমুনা শস্য কর্তন করেন।
নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোছা. ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, জিরাশাইল ধানের নমুনা শস্য কর্তন করা হয় যার ফলন (শুকনা ধান) ৬.৩ টন/হে., চাল ৪.২ টন/হে. আবহাওয়া বৈরী না হলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে।
ধান উৎপাদনে বোরো মৌসুম সর্বাধিক উৎপাদনশীল। দেশের মোট উৎপাদনের ৫৮ ভাগ এ মৌসুম হতে আসায় একথা অনস্বীকার্য যে বোরো ধানের ওপর ভিত্তি করেই দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি রচিত হয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বোরো ধানের গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ১.৫ থেকে ২.০ টন পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। যা জাতীয় উৎপাদনে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। স্বাধীনতার পর পরই দেশের ৩০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতিপূরণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করেন। এছাড়া কৃষি ঋণ মওকুফ, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার ও খাসজমি বিতরণ করে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের চেষ্টা করেন।