এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: শিশুদের নানা বিষয়ে সচেতন করতে পাপেট শোর আয়োজন করেছে কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার। কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আশিকসহ একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো তিনজন (আমিনুল ইসলাম, মো: রবিন মিয়া ও হাসান আরেফিন রনি) এই পাপেট শো’ এর আয়োজন করে।
সোমবার (১৪ আগস্ট ) ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত আরক শিক্ষাঙ্গণ নামের একটি স্কুলের আমন্ত্রণে তারা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশুদের নিয়ে এই আয়োজন করেন। এ সময় শিশুরা বিপুল উৎসাহ নিয়ে পুতুলনাট্য উপভোগ ও পাপেট বানানো শেখে।
আয়োজকরা বলছেন, পুতুলের প্রতি শিশুদের যে আকর্ষণ রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে এই সচেতনতামূলক কাজটি তারা করে যাচ্ছেন। শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করতে সারাদেশেই তারা ঘুরে বেড়ায় কাক তাড়ুয়া পাপেট থিয়েটারের কর্মীরা।
পুতুল নাট্য উপভোগ করার পর আরক শিক্ষাঙ্গনের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী জেরিন বলেন, ‘আমি পুতুল নাচ দেখেছি। অনেক ভালো লেগেছে। এখন থেকে আমি যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবো না। সব সময় পরিবেশ ভালো রাখবো। বাবা মায়ের কথা শুনবো।’
আসাদুজ্জামান আশিক বলেন, আমরা পাপেট শো-এর মাধ্যমে আরো নানা ধরনের কর্মসূচি সারাদেশে করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ময়মনসিংহে পাপেট শো করেলাম। পুতুলের যে একটি শক্তি আছে সেটিকে আমরা কাজে লাগিয়ে মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করতে চাই, একে (পুতুল দেখিয়ে) দেখেও মানুষ যদি একটু সচেতন হয় সেটাই আমাদের স্বার্থকতা। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি আমাদের আমন্ত্রণ জানাই, সেখানেই আমরা ছুটে যাই এবং শিশুদের পাপেটের মাঝে সচেতননতার বার্তা ছড়িয়ে দেই।
আরক শিক্ষাঙ্গণের নাচের শিক্ষক রাফ্ফাত আরেফিন রমা বলেন, শিশুরা আনন্দের মাধ্যমে শিখতে বেশি পছন্দ করে। তাদেরকে জোর পূর্বক কোন কিছু চাপিয়ে দিয়ে কিংবা শাসন করে কোন কিছু শিক্ষা দেওয়া উচিত নয়। আমরা শিশুদের অবেচতন মনে আনন্দের মাধ্যমে সচেতননামূৱক বিষয়গুলো শিখাতে চাওয়ার প্রয়াস থেকেই এমন আয়োজনের ব্যবস্থা করেছি। যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এটির আয়োজন করেছিলাম, সেটিতে আমরা সফল হয়েছি৷ ভবিষ্যতেও কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার ও আরক শিক্ষাঙ্গণ একসাথে কাজ করবে।
এ বিষয়ে আরক শিঙ্গাঙ্গনের প্রধান শিক্ষক ইমরাতুল ইসলাম দিশা বলেন ‘আয়োজনটি সত্যি চমৎকার ছিল। এই পাপেট শোর মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের সচেতননতার বিষয় তারা জানিয়েছে। শিশুদের মাঝে আনন্দের মাধ্যমে সচেতননতার বিষযটি তুলে ধরার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।