বাকৃবি প্রতিনিধি: আমাদের দেশে যেভাবে পশু পরিবহন করা হয় তা অত্যন্ত অমানবিক ও নির্মম। এর ফলে পশু অধিকার ক্ষুন্ন হয় এবং পশুর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ক্ষতি সাধন হয়। শুধু প্রাণির স্বার্থেই নয়, মানুষের স্বার্থের জন্যও পশু অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রাণিকল্যাণ আইন-২০১৯ সবাইকে মেনে চলতে হবে এবং বাস্তবায়নে সচেষ্ট হতে হবে। 'প্রাণিকল্যাণ সমস্যা মূল্যায়নে আচরণের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের আয়োজনে ও ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর এপলায়েড ইথোলজি (আইএসএই) এর পৃষ্ঠপোষকতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার সভাপতি ও বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দীন সরদার ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক ডা. মনোরঞ্জন ধর। এছাড়া অতিথি হিসেবে রাবির ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিনসহ বাকৃবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন কর্মশালার সেক্রেটারি ও বাকৃবির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আরিফুল ইসলাম। দিনব্যাপী কর্মশালায় টেকনিক্যাল সেশনে প্রাণিকল্যাণ সম্পর্কিত ছয়টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
এসময় বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড মো আব্দুল আউয়াল বলেন, পশুর সাথে ভালো ব্যবহার না করলে ভালো প্রতিদান পাওয়া যাবেনা। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না, প্রাণিসম্পদের স্থায়িত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে কর্মশালার বিষয়বস্তু অত্যন্ত সময়োপযোগী।