এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় রাজস্ব প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৪:৩০ মিনিটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কামারখন্দ রাজস্ব খাতের অর্থায়নে আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাস্তবায়িত রোপা আমন ধান (ব্রিধান ৮৭) এর ফসল কর্তনের মাঠ দিবস ঝাঐল বাজারে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সূত্রধর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ এ, কে, এম মফিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কামারখন্দ উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রতন চন্দ্র বর্মন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সানোয়ার হোসেন মোল্লা, কামারখন্দ উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত এসএপিপিও আমিনুল ইসলাম মল্লিক, ঝাঐল ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: মাসুম রানাসহ প্রায় ১২০ জন কৃষক-কৃষাণী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, আজ মূলত ব্রিধান ৮৭ কর্তনের মাঠ দিবস। দানা ফসল বা ধান চাষে অধিকাংশ চাষিরা দক্ষ ও সচেতন। এজন্য বর্তমানে দেশ দানাজাতীয় খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে সেটা অনেকের জানা কিন্তু তৈল তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে অনেকটাই পিছিয়ে আছি। এদেশে তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি জনসংখ্যা হারের তুলনায় কম। এজন্য রোপা আমন কর্তনের সাথে সাথে সরিষা বপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। সরিষা উঠানোর পর বোরো ধানে যেতে পারবো। সরিষা বপন করলে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায় তা হলো বোরো রোপনের সময় জমি তৈরি সহজে করা যায়। সরিষা মাঠে অনেকে মৌ চাষের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে থাকে। সরিষা তেলের গুণাগুণ অনেক রয়েছে এজন্য নিজেদের উৎপাদিত তেল খেতে হবে। অনুষ্ঠানে ব্রিধান ৮৭ সহ রোপা মৌসুমের স্বল্পমেয়াদী এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের রোপা আমন ধান চাষের গুরুত্ব, সরিষার আবাদ বৃদ্ধির কৌশলসহ বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।