এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি মার্মা বলেছেন সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলা মহেশখালী সবসময় দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকলেও সরকারি-বেসরকারী ত্রাণ ও পূনর্বাসন সহায়তা তেমন একটা এই উপজেলায় আসে না। যার কারনে এই দ্বীপ উপজেলায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ জনগন দুর্যোগ সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। সাইক্লোন, বন্যাসহ সাইক্লোন মোখা ও হামোরের মতো নানা ঘুর্নীঝড়ে সবসময় ঝুঁকিতে থাকেন।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই ও ব্র্যাক সাইক্লোন মোখা ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির পুর্নবাসনে এগিয়ে আসার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। আশা করেন অন্যান্য বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোও এভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সাহার্যার্থে এগিয়ে আসবেন। তবে সঠিক উপকারভোগী নির্বাচন করা সত্যিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মাঠ পর্যায়ে যথাযথ জরিপ করে ক্ষতিগ্রস্থ উপকারভোগী তৈরী করা হলে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ জনগন উপকৃত হবে। গৃহহীন মানুষকে গৃহ দিয়ে স্থায়ী ঠিকানা তৈরী করার সরকারের বর্তমান পরিকল্পনার সাথে আইএসডিই এর প্রকল্প সম্পুরক ও পরিপুরক হওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এধরনের প্রকল্প আরও সম্প্রসারনের অনুরোধ জানান।
৩০ নভেম্বর ২০২৩ইং মহেশখালী উপজেলা পরিষদ হলে বেসরকারী সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় সাইক্লোন মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির পূর্নবাসনে সাইক্লোন মোখা রেসপন্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মার্মা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডন্টে এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক এইচসিএমপি কক্সবাজারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, মহেশখালী উপজেলা এনজিও সমন্বয়ক সুব্রত দত্ত, ব্র্যাক প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী ওসমান জাহাঙ্গীর, আইএসডিই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা রেসপন্স এর কক্সবাজারের প্রধান মোঃ জসিম উদ্দীন সিদ্দীক, মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, কালারমারছড়া ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ আলী ও ইসমত আরা বেগম প্রমুখ। প্রকল্পের অর্থ ও লজিস্টিক অফিসার জিয়াউল ইসলাম শিহাবের সঞ্চালনায় প্রকল্পের পরিচিতি উপস্থাপন করেন আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
প্রকল্প পরিচিতি সভায় বলা হয়, আইএসডিই ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইডের সহায়তায় সাইক্লোন মোখা রেসপন্স প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘূর্ণীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ ৮টি পরিবারের মাঝে নতুন ঘর তৈরী, ১১ আংশিক ঘরের সংস্কার, ১৪টি নতুন নলকুপ স্থাপন, ১৪টি ক্ষতিগ্রস্থ নলকুপের প্লাটফরম সংস্কার করবে। যার মাধ্যমে ২৩৬টি পরিবার সরাসরি উপকৃত হবে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, দুর্যোগসহ অন্যান্য প্রকল্পের উপকারভোগী নির্বাচনে নারীর সত্যিকারের অংশগ্রহনবৃদ্ধিতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো তৎপর। একইসাথে সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্টায় আরও জোরদার করা প্রয়োজন। কারন আবহমান কাল থেকেই নারীরা আমাদের সমাজ ও পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি পরিপূরক হিসেবে ঘরের কাজ ও বাইরের কাজ দুটোই সমানতালে চালিয়ে আসছে। সেকারনে নারীসমাজকে বাদদিয়ে উন্নত সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের চিন্তা করা বাতুলতা ছাড়া কিছুই নয়। একই সাথে প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে না পারলে বিশাল একটি অংশ উন্নয়নের মহাযজ্ঞ থেকে ছিটকে পড়বে।