শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)'তে বাংলাদেশের চরাঞ্চলে গুণগত মান সম্পন্ন কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে মেকিং মার্কেট ওয়ার্ক ফর দ্যা র্চস (এমফোরসি) প্রকল্পের আর্থিক সেবা শীর্ষক সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন এনজিও'র প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহণে আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে আরডিএ অডিটোরিয়ামে সামিটের আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া'র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ খুরশিদ ইকবাল রেজভী। আরডিএ বগুড়া'র যুগ্ম-পরিচালক ও এমফোরসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল মজিদ প্রামানিক এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আরডিএ'র অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আরডিএ'র সাবেক পরিচালক ড. একেএম জাকারিয়া আকন্দ, সুইচকন্টাক্ট'র গভর্নমেন্ট রিলেশনস এ্যাডভাইজার সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, সুইচকন্টাক্ট'র ম্যানেজার পার্টনারশিপ ইয়াসির আরাফাতসহ সুইচকন্টাক্ট ও আরডিএ'র বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এমফোসি'র ফাইন্যান্স ফরওয়ার্ড এর মাধ্যমে চরাঞ্চলে মৌসুমি ব্যবসার ঋণ কার্যক্রমের সম্ভাবনা ও সম্প্রসারণে বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে প্যানেল আলোচনা ও বিশ্লেষণমূলক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, মেকিং মার্কেট ওয়ার্ক ফর দ্যা চরস (এমফোরসি) সুইজারল্যান্ড সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ২০১১ সাল থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে এমফোরসি প্রকল্প। প্রকল্পটি সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) বগুড়া'র মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চরাঞ্চলের কৃষি বাজার ব্যবস্থা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে নির্ধারিত চরগুলোর দরিদ্র পরিবারের আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্রতা ও বিপদাপন্নতা হ্রাস করাই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যে এমফোরসি শীর্ষক প্রকল্প দেশের দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জুলাই ২০২০ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত ৬টি জেলার (গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, জামালপুর ও শরিয়তপুর) নতুন এলাকার চরা লের চরবাসীদের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি, বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার হওয়ার বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করায় কাজ করছে।
প্রকল্প এমজেএসকেএস-কে প্রকল্পের তৃতীয় রিভাইজড ধাপে (জুলাই-২০২০-মার্চ ২০২৪) কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুরে প্রকল্পে বিভিন্ন বাস্তবায়ন সহযোগী হিসাবে নিযুক্ত করেছে। যার প্রথম পর্যায়ে মে ২০১৩ হতে ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ১,২৪,০০০ চর পরিবার উপকৃত হয়েছে।