এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টার দত্তগ্রামের মৃনাল কান্তি সরকার। পরিবারের একমাত্র সন্তান। ছোট বেলা থেকেই তার ইচ্ছে একজন খামারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। সেই লক্ষ নিয়েই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। পোল্ট্রি পালন করে বারবার লসের সম্মুখিন হচ্ছিলেন। তবে হতোদ্যোম না হয়ে আবদ্ধ অবস্থায় পেকিং হাঁস পালন করে এখন এলাকায় একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
মৃনাল কান্তি সরকারের বয়স এখন ৪৭ বছর। তিনি বলেন দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) ” নামক সংস্থার কর্মকর্তারা আবদ্ধ অবস্থায় পেকিং হাঁস পালন কারার জন্য অনুপ্রেরণা দেন এবং শুরু করতে সব ধরনের সহযোগিতা করেন।
পোল্ট্রি খামারে একর পর এক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে তার করে আর্থিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়লে তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)। পোল্ট্রি খামার বন্ধ করে দেওয়ায় পরিত্যক্ত শেড গুলোতে কি করবেন ভাবতে থাকেন তিনি। "ডিএসকে"-এর পরামর্শে আবদ্ধ অবস্থায় পেকিং হাঁস পালনের উদ্যোগ নেন তিনি। এরপরে তাকে আর পিছু ফিরতে হয়নি।
প্রথমবারেই তিনি আবদ্ধ অবস্থায় পেকিং হাঁস পালনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হন। তাঁর ইচ্ছে ভালো হাইব্রিড জাতের পেকিং হাঁস পালনের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিক ভাবে আরো উন্নতি লাভ করা। দেশে এখনো ভালো জাতের হাইব্রিড পেকিং হাঁসের বাচ্চা পাওয়া কষ্টকর। দেশে একটি মাত্র কোম্পানি আছে যারা এর হ্যাচিং করে থাকে ।
মৃনাল কান্তি আশা করেন দেশে অন্যান্য ভালো মানের হ্যাচিং কোম্পানি গুলো এর হ্যাচিং শুরু করলে খামারীরা খুব সহজে আরো কম মূল্যে হাইব্রিড পেকিং হাঁসের বাচ্চা পাবে। তার দেখাদেখি আরো অনেকেই এই কাজ করতে আগ্রহী হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন খামারী আবদ্ধ অবস্থায় পেকিং হাঁস পালন শুরু করেছে। তবে ভালো জাতের বাচ্চা না পাওয়ার কারেন অনেকে এখনো খামার শুরু করতে পারেনি। তিনি দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)-কে সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।