এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: ভ্যালেনসিয়া আলুর গাছ ও ফলন দেখে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির আলু চাষীদের চোখে-মুখে এখন হাসির ঝিলিক। ৫০ থেকে ৫৫ দিন বয়সে এই আলু উত্তোলন করে কৃষকরা ভালো বাজারমূল্য পাচ্ছেন। আবার ৮০ থেকে ৯০ দিন রাখলে ফলন বৃদ্ধি পেয়ে ১৪০ মন পর্যন্ত এক বিঘাতে ওজন আসে। ফলে ভ্যালেনসিয়া আলু চাষে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি এ আলু চাষ করে লোকসান পুষিয়ে কৃষকরা লাভের মুখ দেখবেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে পাঁচবিবি উপজেলার শিরট্রি (ভাড়াহুত) ফসলি মাঠে এসিআই সিডের ভ্যালেনসিয়া-১০ জাতের আলুর মাঠ পরিদর্শন শেষে এমনটাই জানালেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও কৃষিবিদরা।
জয়পুরহাট জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. দুলাল শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য দেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও মহাপরিচালক (বীজ) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু।
বক্তারা বলেন ভ্যালেনসিয়া-১০ জাতের আলু চাষে কৃষকরা লাভবান হবে। কারণ ভ্যালেনসিয়া আলু আবাদে অন্যান্য আলুর চেয়ে উৎপাদন খরচ রোগবালাই অনেক কম। সেই সঙ্গে ভ্যালেনসিয়া বাজারে প্রচলিত আলুর চেয়েও ২৫ থেকে ৩০ দিন আগে বাজারে আসে, তাই বাজারমূল্য বেশি। এ জাতের এ আলুর হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৩৯ মেট্রিক টন। প্রতিটি আলুর গড় ওজন প্রায় ১০০ গ্রাম।
মাঠ দিবসে আলু চাষীরা বলেন, প্রচলিত আলু চাষে প্রতি বিঘায় উৎপাদন হতো ৭০ থেকে ৮০ মণ। আর খরচ হতো প্রায় ৩২ হাজার টাকা। অন্যদিকে এসিআই সীডের ভ্যালেনসিয়া আলু চাষে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। প্রতি ৩৩ শতাংশের বিঘাতে ৫১ দিন বয়সে আলু পেয়েছেন ৫৫ মণ। বর্তমান বাজারদর হিসেবে তারা বেশ ভালো লাভের মুখ দেখছেন।
মাঠ দিবেসে জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভিন, এসিআই সীডের বিজনেস ডিরেক্টর জনাব সুধীর চন্দ্র নাথ, পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান, এসিআই সীডের জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম শাহিনুর রহমান, এরিয়া সেলস্ এক্সিকিউটিভ বগুড়া অঞ্চল, মোহাম্মদ নুরুন্নবীসহ আলু বীজ ব্যবসায়ী ও বিপুল সংখ্যক আলু চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।