এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: ‘আমাদের অনেক মিষ্টি জিআই স্বীকৃত হয়েছে। আরো যে সব মিষ্টি জিআই তালিকাভুক্ত হওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমরা কাজ করব’। - লিয়াকত আলী লাকী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি নিয়ে আজ ৬ মার্চ ২০২৪ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয়েছে প্রথমবারের মতো জাতীয় মিষ্টি মেলা ২০২৪। ৫ দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। খাদ্য সংস্কৃতি হিসেবে দেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলোকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভিন্নধর্মী এ আয়োজন। এতে অংশ নিয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত ৬৪-এর অধিক মিষ্টি শিল্পীরা।
আজ বুধবার ৬ মার্চ ২০২৪ সকাল ১১.০০ টায় মিষ্টি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান; জনাব খলিল আহমেদ সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন জনাব লিয়াকত আলী লাকী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন-
“শুধু প্রদর্শনীর জন্য নয়, কেউ চাইলে ৬৪ জেলার বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি খেতে পারবে। আমাদের লক্ষ্যে এবং উদ্দেশ্যটা হলো, আমরা গর্ব এবং গৌরবের বিষয়গুলো আবিস্কার করতে চাই এবং তার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে চাই। আমরা জানি নেতিবাচক অনেক কিছু এ দেশ সম্পর্কে প্রচারিত হয়, এ জন্য আমরা প্রতি বছরই একটি কর্মসূচী পালন করি, শিল্পের শহর। পঞ্চগড় থেকে শুরু করে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রত্যেকটি শহরের নিজস্ব ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস ঐতিহ্যের ইতিবাচকতা তুলে ধরতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, ‘এই মিষ্টি মেলার মাধ্যমে যে শিল্পীরা মিষ্টি তৈরি করেন তাদেরকে চিহ্নিত করা ও শ্রদ্ধা জানানো অন্যতম কাজ বলে আমরা মনে করি । আমাদের অনেক মিষ্টি জিআই হয়েছে। আরো যে সব মিষ্টি জিআই হওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমরা কাজ করবো। আশা করবো মেলাটি সাফল্য মন্ডিত হবে এবং প্রতি বছরই আমরা এ মেলার আয়োজন করবো।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ভিন্ন ধর্মী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচক বক্তারা।
প্রথম জাতীয় মিষ্টি মেলা ২০২৪, ১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। ০৬-১০ মার্চ ২০২৪ অনুষ্ঠিত মেলায় প্রতিদিন বিকাল ৫.০০টায় থাকবে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সকলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।