যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বিটি বেগুনের উপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:আজ ১৬ আগস্ট রোজ মঙ্গলবার, ২০২২ ইং আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র যশোরে "Feed the future insect resistant eggplant partnership" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এক দিনের বিটি বেগুন চাষের উপর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহাম্মদ এর সভাপতিত্ব উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. জাহাঙ্গির হোসেন, সাবেক পরিচালক, বারি ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ক প্রধান, বিটি বেগুন প্রকল্প এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মেরিসেলিস এসিভেডো (Dr. Maricelis Acevedo), প্রকল্প পরিচালক, বিটি বেগুন প্রকল্প, ড. ভিজয় পারাঞ্জি Vijay Paranjee), সহযোগী পরিচালক, বিটি বেগুন প্রকল্প, ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফ আখন্দ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, জীব প্রযুক্তি বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুর এবং অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যশোর অঞ্চল, যশোর।

অত্র অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রায় ৫০(পঞ্চাশ) জন কর্মকর্তা উক্ত প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের বিটি বেগুন চাষের উপর যাবতীয় করনীয়, সমস্যা, চাষাবাদ পদ্ধতি, পোকামাকড়ের দমন ব্যবস্থাপনা, কৃষকদের করনীয়, মাঠ পর্যায়ে বিটি বেগুনের সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা এবং হাতে কলমে শিখানো হয়।



অতিথিবৃন্দ প্রশিক্ষণে উপস্থিত বিভিন্ন জনের আনিত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সকলকে নিয়ে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, যশোরের বেগুনের মাঠ পরিদর্শন করেন এবং গবেষণা মাঠের বেগুনের বিভিন্ন অগ্রবর্ত্তী লাইনের অবস্থা পরিদর্শন করেন।

প্রকল্প পরিচালক বলেন কীটনাশকের ব্যবহার কমানো এবং নিরাপদ সবজী উৎপাদন ও সরবরাহ করার জন্য বিটি বেগুনের চাষ করতে হবে। বিটি বেগুন হলো বিটি জিন সংযোজনের মাধ্যমে উদ্ভাবিত বেগুনের উন্নত জাত যা বেগুনের কান্ড ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন করে। বর্তমান বিশ্বে অধিক ফসল উৎপাদন করার অনেক ফসলেই জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে, সেজন্য গবেষণা হচ্ছে, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ হচ্ছে এবং সেগুলো থেকে ফল পাওয়া শুরু হয়েছে।

বক্তারা বলেন কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে কৃষক এবং ভোক্তা সবাই পরোক্ষভাবে কীটনাশক খাচ্ছে যা বিভিন্ন রোগব্যাধি হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, অধিক ফলন পাওয়ার জন্য কৃষকরা বেগুন ক্ষেতে প্রতিদিনই কীটনাশক প্রয়োগ করে যা তাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর, পাশাপাশি যারা খাচ্ছে তাদেরও ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে বিটি বেগুন চাষ করলে বেগুনের যে প্রধান পোকা কান্ড ও ফল ছিদ্রকারী পোকা না লাগার কারণে কীটনাশক দিতে হয় না, শুধু অন্যান্য পোকার জন্য কম পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়।