এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পুরনো কম উৎপাদনশীল ধানের জাত ব্রি ২৮ ও ২৯ এর পরিবর্তে উচ্চ উৎপাদনশীল নতুন জাত ব্রি ৮৮, ৮৯, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ এর চাষ দ্রুত সম্প্রসারণে কাজ চলছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে ভবিষ্যতে দেশে আর কোনদিন খাদ্য সংকট হবে না।
আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সেচ ভবন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান জাতিকে বিভক্ত করে গিয়েছেন। সে না থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হতো না। তিনি বলেন, জিয়া ছিলেন ক্ষমতালোভী। তার কোন আদর্শ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও তার চিন্তা-চেতনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ প্রবেশ করে নি, জিয়া মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ গ্রহণও করে নি। সেজন্য জিয়া এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল, দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও সমাজের সর্বত্র ঘাপটি মেরে আছে। তারা সুযোগ পেলেই দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। সুযোগ পেলেই তারা বলে রবীন্দ্রনাথের গান কেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হবে। তারা এখনও বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করতে চায়।
তিনি বলেন, দেশকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি জামায়াত, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী সারা দিন কামনা করছে দেশ যেন দেউলিয়া হয়ে যায়। দেউলিয়া হলে অরাজকতা সৃষ্টি করে তারা আবার ক্ষমতায় আসবে- এই তাদের কামনা। কিন্তু তাদের এ স্বপ্ন পূরণ হবে না।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিন্টু খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করিম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংসদ সদস্য শাহাদারা মান্নান এবং কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
এছাড়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সারা দেশ থেকে আগত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
"অনুষ্ঠানে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের নেতৃবৃন্দ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকে নিজ জেলার বাইরে পদায়ন না করার দাবি জানান ও এক্ষেত্রে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকে নিজ জেলার বাইরে পদায়ন করা হবে না বলে কৃষিমন্ত্রী জানান। এছাড়া, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকে গ্যাজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকে বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও গ্যাজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে এখনও তাদের স্বীকৃতি মিলে নি।