নাটোর সদরে আউশ মৌসুমে ব্রি হাইব্রিড ধান-৭ জাতের শস্য কর্তন ও কৃষক সমাবেশ

মোছা: সুমনা আক্তারী :নাটোর জেলার সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কসবা, পীরগঞ্জ বাজারে আউশ ধানের ব্রি হাইব্রিড ধান-৭  জাতের আউশ ধান কর্তন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ জনাব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পিএসও কৃষিবিদ ডঃ মোঃ ফজলুল ইসলাম ও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডঃ মোঃ হারুন-অর -রশিদ এবং নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষন অফিসার কৃষিবিদ জনাব মো: ইয়াছিন আলী।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব মো: মেহেদুল ইসলাম এবং সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সেলিম রেজা । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জনাব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ।
 
কাফুরিয়া ইউনিয়নের কসবা গ্রামের কৃষকেরা আউশ ব্রি হাইব্রিড ধান-৭  জাতের আউশ ধান কর্তন করেন। কর্তন শেষে মাড়াই-ঝাড়াই করে ধানর বিঘা প্রতি প্রায় ১৮.৫ মন ফলন পাওয়া যায়।

ধান কর্তন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, নাটোর জেলার সদর উপজেলা হচ্ছে আউশ ধান উৎপাদনের এলাকা। নাটোর জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় নাটোর সদরে সবচেয়ে বেশী পরিমানে আউশ ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। আমাদের দেশের চলমান খাদ্য নিরাপত্তায় আউশের ভুমিকা ব্যাপক। আউশ ধান আবাদে বৃদ্ধি পেলে বোরো ধান চাষের উপর চাপ কমবে। এছাড়া এই ধান আবাদে পানির পরিমান কম লাগে। এ বছর সদর উপজেলার আউশ ধানের আবাদ ভাল হওয়ায় দেশের খাদ্য চাহিদা পূরনে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ধান কর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি উপপরিচালক তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, শস্য কর্তনের মাধ্যমে ফসলের ফলন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। তাই আউশ ধান কর্তনের মাধ্যমে ধান চাষের ভুলক্রটি সংশোধন করে নেয়া সম্ভব হয়। তিনি আরো বলেন উপজেলায় এ বছর আউশ ধান যে পরিমান আবাদ করা সম্ভব হয়েছে তা যদি রোগবালাই বা কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হয় তাহলে আউশ ধানের ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব হবে। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের সর্বাত্বক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেনখ

উক্ত শস্য কর্তন ও সমাবেশে আউশ ব্রি হাইব্রিড ধান-৭  অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার প্রায় ১০০ জন আদর্শ কৃষক উপস্থিত ছিলেন।