মো: আব্দুল্লাহ হিল কাফি:মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, নওগাঁর আয়োজনে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কালীগ্রামে শাহ কৃষি পাঠাগার এবং জাদুঘরে সার সুপারিশ কার্ড ও ফলদ বৃক্ষ চারা বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো: নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালেদ মেহেদী হাসান পিএএ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট বিভাগীয় গবেষণাগারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: শহিদুল ইসলাম, মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু বক্কর সিদ্দিক, নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: শামীম ইকবাল, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় নওগাঁর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন ও শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার এবং জাদুুঘরের প্রতিষ্ঠাতা মো: জাহাঙ্গীর আলম শাহ্ ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ফসল উৎপাদনের প্রধান ক্ষেত্র হলো মাটি। চাষাবাদের ফলে মাটির উৎপাদন ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মাটি পরীক্ষা ও সুষম সার প্রয়োগের মাধ্যমে মাটির এই উৎপাদন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এতে একদিকে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। মাটির এই উৎপাদন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে আমাদের সার প্রয়োগে সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। ফসল উৎপাদনের জন্য মাটিকে আমাদের খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। আশানুরূপ ফলন পেতে হলে মাটির উর্বরতা পরীক্ষা করে ফসলের চাহিদামত সুষম হারে সার প্রয়োগ করতে হবে। জমিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করা যাবে না। মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে সার সুপারিশকৃত মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে ফলন অনেক বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও পুষ্টি চাহিদা পুরনে বেশী করে ফলদ বৃক্ষের চারা রোপন করতে হবে। তিনি উপস্থিত সকল কৃষকদের সার সুপারিশ কার্ড গ্রহনের মাধ্যমে সঠিক পরিমানে সার ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানান।
সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, কৃষিতে সমৃদ্ধ এ দেশের মাটির উর্বরতা রক্ষার জন্য মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সার সুপারিশ কার্ড গ্রহণ করে সুষম মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারের অনুরোধ জানান। তিনি মাটি পরীক্ষা করা, সঠিক ভাবে সার সুপারিশ মালা তৈরি করা, মৃত্তিকা নমূনা সংগ্রহ করাসহ একাজগুলো কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে বিশদভাবে তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
সার সুপারিশ কার্ড ও ফলদ বৃক্ষের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এস.আর.ডি.আই, কৃষি তথ্য সার্ভিস ও কালীগ্রামের কৃষকগণ সহ প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন।