সমীরণ বিশ্বাস: যাদের হার্টের ব্লক রয়েছে তারা যদি নিয়মিতভাবে কাঁকরোল খান তাহলে হার্টের ব্লক খুলে যাবে। এখন কথা হচ্ছে এটি আপনি কিভাবে রান্না করবেন তার উপর এর কার্যকারিতা নির্ভর করবে। এছাড়া ব্লাড প্রেসার একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে সেই সঙ্গে সঙ্গে দেহের খারাপ কোলেস্টেরল একদমই থাকবে না।
মনে রাখবেন, কাঁকরোল একটি সবজিকে জনপ্রিয় করতে হলে বকবল স্বাদ খূঁজলেই চলবে না এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এতে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ক্যারোটিন, আমিষ, ভিটামিন-বি, শ্বেতসার ও খনিজ পদার্থ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। এছাড়া যারা নিয়মিত কাঁকরোল খাবেন তাদের কিন্তু কারডিওভাস্কুলার ডিসিজেস কখনোই হবে না। যাদের দেহে চর্বি জমে তারা নিয়মিত কাঁকরোল খান দেখবেন আপনা আপনি মেদ কমে যাবে। নিয়মিত কাঁকরোল খেলে আপনার ওজন বাড়বে না। এর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন যা হার্টের জন্য খুবই ভালো কাজ করে।
এবার আসা যাক আপনি কিভাবে এটি রান্না করবেন? খাকরোলকে যতক্ষণ ধরে আগুনের আঁচে রান্না করবেন ততক্ষনে এর ভিতরে থাকার শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সবকিছুই একেবারে উধাও হয়ে যাবে, তাই কাঁকরোল সীমিত তাপে রান্না করুন।
হার্টের সমস্যাসহ পুরাতন কিছু রোগ রয়েছে তারা ১০০ গ্রাম করে কাফরুল টানা ২১ দিন সেবন করবেন ৫ থেকে ৭ মিনিট আগুনের তাপে সেদ্ধ করে পানি দিয়ে খেয়াল রাখবেন, যাতে এমন পরিমাণ পানি দেওয়া হয় যে পানিটা কাঁকরোল সেদ্ধ-এর সঙ্গে সঙ্গে পানি শেষ হয়ে যায় । অতিরিক্ত পানি ফেলে দিলে পুষ্টিগুণ থাকবে না। সিদ্ধ করার সময় এতে খুব সামান্য পরিমাণ সন্দক লবন যুক্ত করলে ভালো ফল পাবেন।
এছাড়া এটি আপনি নিয়মিত খেলে সারা জীবনের জন্য মুক্তি দেবে এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা। এছাড়া এটি এমন একটি সবজি যাতে আয়রন এবং ভিটামিন-সি একই সঙ্গে রয়েছে সেইসঙ্গে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড। ফলে নিয়মিত খেলে প্রচুর পরিমাণে রক্ত তৈরি হবে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ হবে কারণ এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যে ক্যান্সার হওয়ার পরেও যদি নিয়মিত কাঁকরোল খান তাহলে নতুন করে তার দেহে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি হবে না।
সারা জীবনের মতো হৃদরোগ থেকে আপনি দূরে থাকতে নিয়মিত কাঁকরোল খান এবং কৃষিতে থাকুন। সুস্থ থাকুন।
লেখক: লিড-এগ্রিকালচারিস্ট, মদিনা টেক লিমিটেড, ঢাকা।