ড. মোফাজ্জল হোসাইন:আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২২ তারিখ, শুক্রবার সারা বিশ্বে উদযাপিত হবে ‘বিশ্ব ডিম দিবস-২০২২’। দিবসটির গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ এনিম্যাল এগ্রিকালচার সোসাইটি (BAAS) সহ নানা পোল্ট্রি সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন”।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলির মধ্যে একটি যা আপনার প্রয়োজনের প্রায় প্রতিটি পুষ্টি উপাদানের সামান্য পরিমাণ ধারণ করে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়ার পাশাপাশি ডিমের রয়েছে আরো অনেক উপকারিতা। এজন্য ডিমকে বলা হয় সুপার ফুড। প্রতি বছরের৷ অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার পালিত হয় বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে এগ্রিলাইফের সাথে কথা বলেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হোসাইন।
তিনি বলেন, ডিম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাদ্য। সব জায়গায় খুব সহজে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায় ডিম, যাতে রয়েছে প্রয়োজনীয় প্রায় সকল ভিটামিন ও খনিজ যা স্বাস্থ্যকর ডায়েট এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর দেহের প্রতিটি অঙ্গের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে ডিম। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত প্রতিটি অঙ্গের জন্য দরকার ডিম।
এই গবেষক বলেন, একটি ডিমে দেহের প্রয়োজনীয় প্রতিটি উপাদান থাকে। মাথার চুলের যে বৃদ্ধি ঘটে সেটা প্রোটিন, এ প্রোটিন আসে ডিম থেকে। আমাদের যে দৃষ্টি শক্তি, যা চোখের সাথে জড়িত। ডিমের মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য সরাসরি জড়িত। আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে ঠিকঠাক করতে হলে আমাদের প্রতিদিন ডিম খেতে হবে। শুধু তাই নয়, আমাদের দেহের দৈহিক বৃদ্ধি যেমন: অঙ্গের বৃদ্ধি, চুলের বৃদ্ধি, নখের বৃদ্ধির জন্যও ডিমের ভূমিকা অনেক।
ড. মোফাজ্জল বলেন,গর্ভবতী মায়ের ভ্রুণের বৃদ্ধি, বাচ্চার বৃদ্ধি কিংবা দুগ্ধ প্রদানকারী মায়ের জন্য ডিম খুবই দরকারী। আমাদের শরীরের যে ক্ষয় হয়, তার জন্যও ডিম খাওযা প্রয়োজন। আমরা যে খাদ্য খাই তা পরিপাকের জন্য ডিম খেতে হবে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন এনজাইম তৈরিতেও ভূমিকা রাখে ডিম।
এক কথায়, আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ পতঙ্গই ডিমের উপর নির্ভরশীল। একেবারে মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি অঙ্গই ডিমের উপর নির্ভরশীল। আমাদের সুস্থ সবল থাকার জন্য প্রত্যেকের অবশ্যই প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত। মেধা, দৃষ্টি ও শারীরীক গঠনে ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ডিম বলেন অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হোসাইন।