গ্রামীণ জনপদের শিশুদের ডিম গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক:গ্রামীণ জনপদের শিশুদের ডিম গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ডিম-এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তাদের ও তাদের অভিভাবকদেরও সচেতন করা প্রয়োজন। গ্রামীণ জনপদের শিশুসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে ডিম খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ব্যতিক্রমী আয়োজন করলো সর্বস্তরের ভেটেরিনারিয়ান ও ভেটেরিনারিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের সকলের প্রিয় একমাত্র সংগঠন শেরপুর ভেটস ক্লাব।

সে লক্ষে সংগঠনটি বিশ্ব ডিম দিবস ২০২২ উদযাপনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) শেরপুর ভেটস ক্লাব শেরপুর সদর উপজেলার পোড়া দোকানে অবস্থিত সাইফুল ইসলাম ভাসানী আলোকিত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের এবং নন্দীর বাজারের আদ্ দ্বীন মডেল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে সিদ্ধ ডিম বিতরণ করে।



ডিম নিয়ে অথবা অন্যান্য দিবস নিয়ে রাজধানী থেকে শহর পর্যায়ে যেভাবে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পালন করা হয় গ্রামীণ পর্যায়ে বিশেষ করে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে সে ধরনের ক্যাম্পেইন নাই বললেই চলে। অথচ দেখা যায় গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুরা ডিমের পুষ্টি মান সম্পর্কে একেবারে অসচেতন। জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে হলে গ্রামীণ জনপদের শিশুদের ডিম গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শেরপুর ভেটস ক্লাব তাদের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এধরনের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু'টির শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

কথা হয় শেরপুর ভেটস ক্লাব-এর সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সরোয়ার জাহান-এর সাথে। তিনি বলেন, ডিম গ্রহনে অভ্যস্ত করানোর জন্য দেশের সকল উপজেলায় পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে, হত দরিদ্র বয়স্ক মানুষের মাঝে, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সিদ্ধ ডিম বিতরণ করা যেতে পারে  প্রয়োজনে প্রত্যেককে ১ হালি করে ডিম  বিতরন করা হলেই প্রকৃত ডিম দিবস উদযাপন করা হবে।



স্কুল দুটির শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, শেরপুর ভেটস ক্লাব-এর এ ধরনের কার্যক্রম সত্যি প্রশংসনীয়। কেননা গ্রামীণ পর্যায়ে ডিম উৎপাদন হলেও শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে তারা এগুলোর খেতে চায় না। ফলে পুষ্টিহীন, রোগাক্রান্ত, প্রতিবন্ধী শিশুর সংখ্যা প্রায়ই চোখে পড়ে। মূলত শিশুদের পুষ্টি চাহিদার একটি বড় অংশ ডিম পূরণ করতে পারে। তারা সরকার এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সহ পোল্ট্রি শিল্পের সকল পর্যায়ের সংগঠকদের এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। তারা ক্লাবের সকল সংগঠকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।



শেরপুর ভেটস ক্লাব সারা বছরব্যাপী এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবে বলে জানান শেরপুর ভেটস ক্লাবের তথ্য, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. সুজন মিয়া। ডিম বিতরণকালে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম ও কার্য নির্বাহী সদস্য ডা. সাদ্দাম হোসেন সহ সংগঠনের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ক্লাবটির জন্মলগ্ন থেকেই একেবারে নবীন শিক্ষার্থীদের থেকে শুরু করে সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ভেটেরিনারিয়ানের সাথে পারস্পরিক তথ্য আদান প্রদান করে আসছে। এর পাশাপাশি এ সংক্রান্ত বিষয়ে নলেজ শেয়ারিং এর মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান দ্বারা প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে এবং নিজেদেরকে মাঠ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।