রাজধানী প্রতিনিধি:বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের বিদ্যমান আইনগুলোর পরিবর্তন, প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদনে এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধ করা জরুরী। প্রাণিজাত খাদ্যের গুনগত মান বজায় রেখে সরবরাহ ও বিপণন ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণের আস্থা অর্জন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে বহুবিধ বাঁধা থাকলেও তা অতিক্রম আমাদেরকেই করতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক মানের রীতি-নীতি অনুসরণ করতে হবে। এসব করা করা গেলে দেশও জাতি উপকৃত যেমন হবে তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খাদ্য রপ্তানীর দিগন্ত আরো উম্মোচিত হবে।
আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ''Policy dialogue Workshop on Food Safety and AMR Surveillance for Food of Animal Origin'' শীর্ষক কর্মশালায় এক গ্রুপ আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। ৩ দিন ব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)। আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর ২০২২) পর্যন্ত চলবে এটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল ১১ টার দিকে 'Policy Paper on Food Safety Framework of Food of Animal Origin' এর উপর বক্তব্য রাখেন National Inspection Expert Dr. Md. Mehedi Hossain এবং 'National Livestock and Dairy Expert Dr. S M. Rajiur ahman. Food Safety Regulatory Landscape Study and Investment Plan' এর উপর বক্তব্য রাখেন Senior Expert in Food Regulatory Science Dr. Samuel Godefroy.
আলোচনা সভায় কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে এগিয়ে নেওয়া ও বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপদতার আরো কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন অংশগ্রহনকারীরা।
গ্রুপ বৈঠক ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, প্রাণিজ খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের প্রাথমিক কাজ হলো নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করে এ কার্যক্রমের আইনগত বৈধ্যতা ও প্রাতিষ্ঠানিকতা প্রদান। আইনের আলোকে বিধিবিধান এবং নীতিমালা প্রণয়ণ করার পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন হতে ভোক্তা পর্যন্ত শৃঙ্খলের প্রতিটি স্তরে দিকনির্দেশনা প্রদান, মনিটরিং ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এখানে অংশগ্রহণকারীরা আরো বলেন, মূলত নীতিনির্ধারণ পর্যায়ের পরে সরকারের বাস্তবায়নে জনবল নিয়োগ এবং ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সিভিল সোসাইটি, একাডেমিয়া, গবেষক এবং মিডিয়াসহ সকল অংশীজনের নিয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে। কারণ খাদ্য নিরাপদতার সাথে দেশের প্রতিটি মানুষ যেমন জড়িত, তেমনি পরিবেশ রক্ষা থেকে খাদ্য উৎপাদন, শুকানো, মজুদ, পরিবহন, প্রক্রিয়াজতকরণ, মোড়কীকরণ, লেবেলিং, আমদানি, রপ্তানি, বাজারজাতকরণ, রান্না ও পরিবেশন পর্যন্ত প্রায় সকল পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীরা খাদ্য নিরাপদতার সাথে যুক্ত।
গোলটেবিল আলোচনা পর্বের শেষে প্রথম দিনের সমাপনী বক্তব্য রাখেন United Nations Industrial Development Organization (UNIDO) এর Project Officer Dr. Md. Ainul Haque & r. Gabor Molnar.