প্রাণিজাত খাদ্যে ফুড সেফটি নিশ্চিত করতে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান

রাজধানী প্রতিবেদক:প্রাণিজ খাদ্যে ফুড সেফটি নিশ্চিত করতে উৎপাদন থেকে খাবার টেবিল পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাণিজ খাদ্যের সাথে জড়িত উৎপাদক থেকে ভোক্তা সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ প্রাণিজ উৎসের উৎপাদিত খাদ্য দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে প্রাণিজ উৎস থেকে উৎপাদিত প্রোটিন নিরাপদ করতে স্টেকহোল্ডারদের আরো সচেতন হতে হবে।

সুস্থ, সবল, মেধাবী জাতি গঠনে প্রাণিজ খাদ্যের নিশ্চয়তা খুবই জরুরী। জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) আয়োজনে শতাধিক অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে তিন (৩) দিনব্যাপী "Policy dialogue Workshop on Food Safety and AMR Surveillance for Food of Animal Origin" শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব বিষয়গুলো উঠে আসে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর ২০২২) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় অর্জিত জ্ঞানগুলিকে কাজে লাগিয়ে দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় অনন্য ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে জানান অংশগ্রহণকারীরা।

কর্মশালার শেষ দিনে সকালে "Review of day two discussions and modalities" এর উপর বক্তব্য রাখেন UNIDO এর National Project Coordinator Md. Ainul Haque এবং  International AMR expert Dr. Valeria Bortolaia.



এরপর দুপুরে "Antimicrobial Resistance Containment Policy in Animals and Foods of Animal Origin in Bangladesh" শীর্ষক বক্তব্য রাখেন UNIDO এর National Expert on AMR Surveillance Dr. Md Nure Alam Siddiky এবং "Policy paper on integrated AMR surveillance and monitoring framework in animals and foods of animal origin, including containment of AMU"-এর উপর বক্তব্য রাখেন UNIDO এর Expert on AMR Surveillance Dr. Valeria Bortolaia.

প্রতিদিনের মত সমাপনীর শেষদিনেও একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব ও গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও অংশগ্রহণকারীরা। সেখানে তারা ৩ দিনে কর্মশালার উপর চমৎকার চমৎকার প্রস্তাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, 'আমরা যারা অংশ নিয়েছি সবাই উচ্চশিক্ষিত। আমাদের উচিত কর্মশালা থেকে খাদ্য নিরাপত্তার উপর অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাগুলি আরো বেশি বেশি করে নীতিনীর্ধারকদের কাছে তুলে ধরা।'



অংশগ্রহণকারীদের আরো একজন বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের প্রত্যেককেই এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদেরকেই প্রথমে সচেতন হতে হবে। এরপর স্টেকহোল্ডারদের সাথে কার্যকরী কর্মপন্থা পৌঁছে দিতে হবে৷ ৩ দিন ব্যাপী এ কর্মশালায় উঠে আসা সুপারিশগুলো সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে৷ যদি এ সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত না হয় তবে এ কর্মশালা সত্যিকার অর্থে ফলপ্রসু হবে না বলে মনে করেন তারা।

৩ দিন ব্যাপী এ কর্মশালায় বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, আন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী-গবেষক, BSTI-জাতীয় ভোক্তা অধিকার, বিভিন্ন শিল্পোদ্যাক্তা সহ দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতাধিক কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞগণ এতে অংশ নেন।