রাজধানী প্রতিনিধি:ফসলে ভালো ফলন পেতে হতে গেলে প্রথমে প্রয়োজন ভালো বীজ। কৃষকরা সব সময় সঠিক বীজের বিষয়গুলিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অল্প খরচে কৃষকরা যেন উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন এসিআই সীড বিষয়টির উপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেলক্ষে এসিআই সীড- রাইস জেনেটিক্স, ভেজিটেবল জেনেটিক্স, মলিকুলার জেনেটিক্স সহ কৃষকের জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করছে ।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এসিআই সেন্টারে তিনদিনব্যাপি (২০-২২ ডিসেম্বর) এসিআই এগ্রি বিজনেস আয়োজিত এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রদর্শনীতে তাদের স্টল ভিজিটকালে এসব তথ্য জানালেন এসিআই সীড-এর পোর্টফলিও ম্যানেজার (সীড পটেটো) কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা। এসিআই এগ্রি বিজনেসেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী কৃষিক্ষেত্রে দেশের বীজ শিল্পে এসিআই সীড-এর কার্যক্রম প্রদর্শনীতে আগত আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদের নিকট তুলে ধরেন।
ড. আনসারী বলেন, দেশে বেসরকারি পর্যায়ে গবেষণার বিষয়গুলিকে তারা অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে এসিআই সীড ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার সাথে একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করেছে যার মাধ্যমে কৃষি বিজ্ঞানীরা তাদের সাথে কাজ করছেন এবং ধান, সবজি, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি ফসলের ক্ষেত্রে কৃষকদের মাঝে উপযোগী নতুন নতুন জাত উপহার দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে দেশের কৃষিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা এসব বীজ থেকে উৎপাদিত সবজি, ধান, আলু দেখে অভিভূত হন এবং তারা এসিআই-এর এ ধরনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, মলিকুলার জেনেটিক্স-এর মাধ্যমে জাত উদ্ভাবন এবং ওই জাতের ফিজিবিলিটি স্টাডির মাধ্যমে জাতটি পারফেক্ট কিনা সেটি জানা যায়। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ও ট্রায়ালের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে নতুন নতুন জাত আসবে ও ফলন বাড়বে চাষীদের। এতে কম খরচে বেশি আয় হবে চাষীদের, এটাই এসিআই সীড-এর প্রধান উদ্দেশ্য। এসিআই সীড-এর আলুর ভ্যালেন্সিয়া জাত যা টেবিল পটেটোর পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা যায়।
তিনদিনব্যাপি এসিআই এগ্রি বিজনেসেস-এর প্রদর্শনীটির আজ (২১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিন যা আগামীকাল সন্ধ্যায় শেষ হবে বলে জানান আয়োজকরা।