ডেইরি উদ্যোক্তাদের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স

বিশেষ প্রতিবেদক:দেশে বর্তমানে দৈনিক ২০ লিটার দুধ উৎপাদনক্ষম গাভীর সংখ্যা বিশ লাখের উপর আর ১০ লিটার দুধ উৎপাদন ক্ষম গাভীর সংখ্যা ১৫ থেকে ১৬ লাখের মধ্যে। নতুন প্রজন্সের ডেইরি উদ্যোক্তাদের দুধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটানোই এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষে তারা কিশোরগঞ্জ জেলার খামারিদের নিয়ে আয়োজন প্রজেনী শো-২০২২।

এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স-এর এই আয়োজনে খামারিদের ব্যাপক সাড়ার মধ্য দিয়ে আয়োজিত এ মিলনমেলায় জেলার প্রত্যন্ত এলাকার প্রায় সাত শত দুগ্ধ এবং মাংস উৎপাদনকারী খামারিরা অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপি খামারীদের উৎসাহ ও অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।

আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলার সদরের যশোদল ইউনিয়নের স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র এর উপপরিচালক ডা. মোঃ কায়সার জামিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা ভেটেরিনারী হাসপাতালের ভিও ডা. মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম সহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খামারীরা যাতে সঠিক টেকনোলজি ব্যবহার করে ডেইরি খামারের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারেন বিশেষ করে জাত উন্নয়নের মাধ্যমে দুধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি ছিল এই প্রজেনী শো-এর মূল উদ্দেশ্য।



বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের এডভাইজার ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, এসিআই এনিমেল হেলথ-এর চীফ টেকনিক্যাল এডভাইজার ডা. এম এ ছালেক। এছাড়াও এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের বিজনেস ডিরেক্টর মোজাফফর উদ্দিন আহমেদ তাদের কার্যক্রমের সার্বিক দিকগুলি বিশেষভাবে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডেইরি শিল্পে প্রয়োজন টেকসই প্রযুক্তি। উন্নত এবং টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। ডেইরি খামারীদের মাঝে টেকসই প্রযুক্তি ও উন্নত জাতের উপস্থাপন করছে  এসিআই অ্যানিমেল জেনেটিক্স।

এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের বিজনেস ডিরেক্টর মোজাফফর উদ্দিন আহমেদ এগ্রিলাইফকে বলেন, এই প্রজেনী শো তে এ এলাকার বাছাইকৃত ৫০টি বাছুর প্রদর্শন করা হয়। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি খামারি অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় এখন এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স এর কার্যক্রমের কারণে তাদের অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। আয়-উন্নতি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটছে।



মোজাফফর উদ্দিন আরো বলেন, বর্তমান সময়ে খামারিদের এমন জাত ব্যবহার করা দরকার যাতে দুধ এবং মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। সে লক্ষে হলষ্টেন ফ্রিজিয়ান জাতটি খামারীরা সাদরে গ্রহন করেছে। প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাপক সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান হবে যা সরকারের পাশাপাশি এসিআই-এর অন্যতম লক্ষ বলে মনে করেন তিনি।

প্রজেনী শোতে বছুর নিয়ে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি খামারীকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এছাড়া খামারিদের নিয়ে একটি র‌্যাফেল ড্রর আয়োজন করে এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স।