কৃষিবিদ মো: আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি:মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে আগামী দিনের স্মার্ট কৃষির অগ্রযাত্রায় সমলয়ে ধান চাষ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় উদ্বোধন করলেন মাননীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান। সোনাতলা পৌরসভার বোচারপুকুর নামক স্থানে ১৫০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে হাইব্রিড এসিআই -৬ (ছক্কা) জাতের ধানের চারা রোপন করা হয়।
মনিবার (২৮ জানুয়ারী) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ মতলুবর রহমান, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লিটন, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, সোনাতলা উপজেলা, কৃষিবিদ মোঃ এনামুল হক, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য), ডিএই, বগুড়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব সাঈদা পারভীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সোনাতলা এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ মোঃ সোহরাব হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার, সোনাতলা।
এই অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ সমলয় চাষাবাদের সুফল ও প্রযুক্তি আরোও ছড়িয়ে দেবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এই প্রযুক্তিতে একই জাতের ধান, একই সময়ে, একই বয়সের চারা রোপন করার ফলে ধানের ব্যবস্থাপনাগত সুবিধা সহ কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো সহজ হবে। নতুন এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা, সবই এক সময়ে একযোগে করা হয়। স্বল্প মানুষের সাহায্যে কাজটা করা হয় কৃষি যন্ত্রের মাধ্যেমে। জমির অপচয় রোধে এপদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে চারা তৈরি করা হয়। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা তৈরি হয়। তারপর রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হয়। একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে। চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই করা যায়। আর বড়সড় পরিসরে হয় বলে সব প্রক্রিয়াতেই যন্ত্রের ব্যবহার হবে সাশ্রয়ী।
অনুষ্ঠানে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, উপসহকারী কৃষি অফিসার বৃন্দ, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিক বৃন্দ এবং প্রায় ২৫০ কৃষক/ কৃষাণী, উপস্থিত ছিলেন।