মাছের খামারে প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দীন মোহাম্মদ দীনু।। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে “স্ট্র্যাটেজিস ফর ইনক্লুসিভ একুয়াকালচার ভেল্যুচেইন ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের উদ্যোগে গত  বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপি মৎস্য চাষিদের নিয়ে “টেকনোলজি এডাপশন ইন একোয়াকালচার ফার্মস” শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পটির পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালইয়-এর যৌথ উদ্যোগে। প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে ইউএসএআইডি’র অঙ্গ সংগঠন ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ।   

উক্ত প্রশিক্ষনটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের পরিচালক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান খান। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রকল্প পরিচালক ড. মদন মোহন দে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিস-এর এশিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর ড. এম গোলাম হোসাইন এবং কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান খান। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন কৃষি অর্থনীতি বিভাগের মার্স্টাস অধ্যায়নরত শীক্ষার্থী নাজিফা জাহিন অহনা। প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী মোঃ ইমরান হোসাইন অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করেন।  



প্রশিক্ষকদের মধ্যে একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর, ড. এম মাহফুজুল হক রিপন, “একোয়াকালচার সিস্টেম এবং ইন্সট্রুমেন্টেশন: মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল” বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এ পর্বে কিভাবে নতুন প্রযুক্তি মাছ চাষে ব্যবহার করা যায় এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া NAAFCO এগ্রোভেট লিমিটেডের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার কৃষিবিদ লিটন চৌধুরী নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য অ্যাকুয়াকালচারে প্রোবায়োটিক্সের সম্ভাবনা-এর আলোকে বিস্তর বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি দেখান, যথাযথ প্রোবায়োটিক্সের ব্যবহারের মাধ্যমে সফলভাবে মাছ চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

প্রশিক্ষণ শেষে ৪০ জন মৎস্য চাষি প্রশিক্ষন সনদ প্রদান করা হয় এবং তারা তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। উক্ত প্রশিক্ষনে ৪ জন মহিলা মৎস্য চাষি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন এবং তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।