এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: কথা ছিল ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশুনা শেষ করে সে ধরনের কোন পেশায় চলে যাবেন। কিন্তু মানুষেরকর্মসংস্থান ও সেবা করার জন্য হয়ে যান একজন পোল্ট্রি খামারী। ২০১০ সাল থেকে এ শিল্পের সাথে জড়িত হন সাথে জড়িত করেছেন তার ছেলেকেও। খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৩৫ জন মানুষের। তারা তার খামারে কাজ করেই পরিবার চালান তারা। আসছে পোল্ট্রি শো ও সেমিনার উপলক্ষে প্রান্তিক খামারীরা আসবেন মেলায়; শুনবেন সবার কথা। সেখান থেকেই অভিজ্ঞতার পাল্লা ভারি হবে তাদের৷
চুয়াডাঙ্গা জেলারসদরের অন্তর্গত শশান পাড়া গ্রামে ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুর রাহিম জোয়ার্দারের রয়েছে ৪৫,০০০ লেয়ার মুরগী। শুরুটাি করেছিলেন ৩০০০ মুরগী দিয়ে। ১২ তম আন্তজার্তিক প্রোল্ট্রি শো ও সেমিনার উপলক্ষে এগ্রিলাইফের সাথে আলাপ চারিতায় তিনি বলেন, ২০১০ সালে প্রতিপিস ডিম বিক্রি করতেন ৬-৭ টাকা, তখন ফিডের দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫-২৬ টাকা। বর্তমানে ফিডের দামের সাথে ডিমের কোন মিল নেই। লসে ডিম ও মুরগী বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে।
এ শিল্পের ভবিষ্যত করণীয় ও প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশের জন্য কৃষি বিভাগের সাথে আরো কাজ করার সুযোগ আছে, কাজ করার সুযোগ আছে লাইভস্টক সেক্টরেরও। বর্তমানে খাতটি এলোমেলো অবস্থায় আছে, সেটিকে গুছিয়ে আনার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে৷ জনসচেতনতা বাড়ানো এবং ভোক্তা-খামারীদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হবে। এও সমন্বয় করা৷ সাথে সাথেপোল্ট্রিজাত পণ্য রপ্তানির দিকে নিয়ে যাওয়ারও তাগিদ দেন এই খামারী।