রাজধানী প্রতিনিধি: পোল্ট্রি’র জেনেটিক্সের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বল্প পরিসরে ডিম-মাংসের উৎপাদন ও মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে হবে; বর্তমান ও আগামী পৃথিবীর মানুষের জন্য খাদ্য ও পুষ্টির সংস্থান করতে হবে। আজ বুধবার (১৫ মার্চ) ১২ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি সেমিনারে সমাপনী দিনে গবেষক ও বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানী রেডিসন ব্লুতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগ-জীবানুর সংক্রমণ রোধ করা এবং নিরাপদ ডিম ও মুরগি উৎপাদনের কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্যই মূলত: এই আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে পোল্ট্রি ফিডের কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে, ফলে বেড়েছে ডিম ও মুরগির মাংসের উৎপাদন খরচ। কিভাবে এ খরচ কমিয়ে আনা যায়, বিকল্প কাঁচামালের ব্যবহার করে কিভাবে সাশ্রয়ীমূল্যে সবার জন্য প্রাণিজ আমিষের যোগান নিশ্চিত করার বিষয়গুলি উঠে আসে তাদের কথায়।
পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। সারা বিশ্বের আধুনিক গবেষণা এবং বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতাগুলোকে একত্রিত করা এ সেমিনারের অন্যতম একটি লক্ষ্য যাতে এদেশের খামারি ও উৎপাদকগণ তা থেকে উপকৃত হতে পারেন।
দু দিনের এই সেমিনারে, দেশী-বিদেশী মিলিয়ে মোট ৪০টি ওরাল এবং ৫২টি পোষ্টার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪ শতাধিক পোল্ট্রি বিজ্ঞানী ও গবেষক, স্টেক হোল্ডার এ প্ল্যানারি সেশনগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।