মো.জুলফিকার আলী: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,সিলেট সদর, সিলেট এর আয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পে আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের স্থাপিত সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের ঝিলকার হাওরে বোরেধান (ব্রিধান৯২) প্রদর্শনীর উপর এক মাঠ দিবস গতকাল ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত মাঠ দিবসের অনুষ্ঠন শুরুতে সুধীজনদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ অপূর্ব লাল সরকার উপজেলা কৃষি অফিসার, সিলেট সদর, সিলেট । তিনি বলেন-কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং সার ও কীটনাশক এবং আন্ত:পরিচর্যার জন্যও সহায়তা প্রদান করেছে। তিনি স্বল্পজীবনকাল ধান ও পানি সাশ্রয়ী বোরো মৌসুমে ব্রি ধান-৯২এর জাত পরিচিতি ,উৎপাদন, ফলন ও সংরক্ষণ বিষয়ে কৃষকদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন ।
উক্ত মাঠ দিবসে কৃষিবিদ মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা, উপপরিচালক,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান। তিনি প্রধান অতিথি বলেন- সিলেট জেলার আনাবাদি পতিত জমি চাষের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগসহ অন্যন্য বিভাগ একত্রে কাজ করে যাচ্ছে। সিলেট জেলার কৃষকেরা উন্নত আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো আবাদ করলে কৃষি উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে যাবে। বর্তমান সরকার ধানের ন্যায্য মূল্য দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে এতে কৃষকরা ধান উৎপাদনে আরো বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।
তিনি আরোও বলেন- সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য কাজ কারা হচ্ছে। এ বোরো মৌসুমে ৪৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আবদি বেশি হয়েছে। গত আমন মৌসুমে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান বেশি হয়েছে এবং সরিষা মৌসুমে প্রায় ২হাজার হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার আবাদ করা হয়েছে। প্রতি বছরে প্রত্যাক উপজেলা ১ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পতিত জমি নতুন করে চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা আগামী ৫ বছরে ৬৫ হাজার হেক্টর জমি চাষের আওতায় আসবে আশা করেন।
কৃষিবিদ মুক্তা সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এর সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত বক্তেব্য রাখেন- নুসরাত আজমেরী হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সিলেট সদর, সিলেট; কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান ,মনিটরিং অফিসার, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প; কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিছুজ্জহামান ,অতিরিক্ত উপপরিচালক, ডিএই, সিলেট; মোঃ হিরন মিয়া চেয়ারম্যান,মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীভূক্ত কৃষক বলেন, দিন দিন ব্রি-ধান-৯২ চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। উন্নতজাতের ধান চাষ করে তারা অনেক লাভবান। এই ধানে তেমন কোন রোগ-বালাই নেই। তিনি স্থানীয় কৃষকদের বলেন, এ উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করে আগামী বছর নিজ জমিতে আবাদ করলে আপনারা লাভবান হবেন।