এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরে "মৎস্য চাষ যান্ত্রিকীকরণ: বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করনীয়" শীর্ষক কর্মশালা আয়োজিত হয়েছে। রবিবার (১১ জুন) সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কার্যালয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক। কর্মশালায় মৎস্য কর্মকর্তাদের আধুনিক যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে মৎস চাষ, ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণসহ অন্যান্য অনেক কাজ খুব সহজে ও কম খরচে কিভাবে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে মৎস্য বিভাগে যন্ত্র ও মেশিনের ব্যবহার উদ্ভুদ্ধ ও বৃদ্ধি করাই ছিল কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য।
ড. মাহফুজুল বলেন, মৎস্য চাষ, ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায় বাংলাদেশে এখনো সনাতন পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়। এর পরিবর্তে যন্ত্র ব্যবহার অনেক লাভজনক। অক্সিজেন বৃদ্ধিকারী যন্ত্র এরেটার ব্যবহারে পুরো ফার্ম বা পুকুরে অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব। এছাড়া এই যন্ত্র পুকুরের নিচ থেকে অতিরিক্ত ক্ষতিকর গ্যাসও দূর করে দেয়। "ফিশ কাউন্টিং ডিভাইস" ব্যবহারের মাধ্যমে খুবই কম সময়ে সঠিকভাবে মাছ ও মাছের পোনা গননা করা যায়। আধুনিক সব যন্ত্রপাতির সাহায্য নিলে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচও অনেকটা কমে আসবে৷
কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ বিভাগের উপপরিচালক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মূল উপস্থাপক হিসেবে বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে এম এম খালেকুজ্জামান, প্রনব কুমার, মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় উপস্থিত মৎস চাষী ও খামারিরাও আধুনিক এসব যন্ত্র ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এসব যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী দাম নিশ্চিত করে বাজারজাত করার আবেদন জানান তারা। পাশাপাশি এসব যন্ত্র ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রশিক্ষণ আয়োজন করা কথাও বলেন তারা।