এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের আমন ধান আবাদ করলে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুসংহত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন। তিনি বলেন, করোনা কালে কৃষিই আমাদের পরনির্ভরশীলতা থেকে বাঁচিয়েছে। তাই কৃষির কোন বিকল্প নেই।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার নান্দাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত আমন ধানের বীজ বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় এই বক্তব্য রাখেন। ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামানিক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল, ময়মনসিংহ। কৃষিবিদ মোঃ সিরাজুল ইসলাম মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ব্রি। জনাব কৃষিবিদ মোঃ মতিউজ্জামান, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ময়মনসিংহ জনাব হাসান মাহমুদ জুয়েল, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, নান্দাইল, ময়মনসিংহ জনাব মোঃ আবুল মনসুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ও মনোয়ারা জুয়েল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, নান্দাইল উপজেলা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. মো. ইব্রাহিম, বিভাগীয় প্রধান, আরএফএস বিভাগ, ব্রি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রির উধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা ড. মোঃ আব্দুল মোমিন।
অনুষ্ঠানে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের নির্দেশনা হচ্ছে এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবে না। নিজেদের খাদ্য নিজেদের উৎপাদন করতে হবে। খাদ্যের অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। সুতরাং আমাদের কে ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান চাষ করতে হবে যাতে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পারি।
অনুষ্ঠানে নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ আনিসুজ্জামান, ব্রির উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খায়রুল কায়েস, ড. শীলা প্রামাণিক, এবিএম জামিউল ইসলাম, বীর জাহাঙ্গীর সিরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।