রাজধানী প্রতিনিধি: আমরা কমবেশি সবাই এন্টিবায়োটিক এর সাথে জড়িত। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে প্রাণীরা যখন অসুস্থ হয় তখন চিকিৎসার জন্য এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার করতে হয়। তবে ইনফেকশনের উপর ভিত্তি করে সঠিক ডায়াগনসিস করে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে মানুষ ও প্রাণি উভয়েই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থেকে রক্ষা পেতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীতে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যন্স সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষে এগ্রো সলিউশন-এর আয়োজনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। বেসরকারী পর্যায়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে জড়িত ভেটেরিনারিয়ান ও কারিগরী বিশেষজ্ঞরা এতে অংশগ্রহন করেন।
" সকলে মিলে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করি" এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বক্তারা বলেন, আসুন আগে আমরা নিজে সচেতন হই এবং অন্যকেও সচেতন করি। অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারিয়ানরা বলেন, তাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল মাঠ পর্যায়ে তারা যখন কাজ করতে যান খামারীরা দ্রুত রোগ নিরাময় চান; তাদের ধৈর্য শক্তি অত্যন্ত কম। তবে এ ধরনের উদ্যোগকে তারা সাধুবাদ জানান। সেই সাথে নিজেরাও খামারী পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চমৎকার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এগ্রো সলিউশনের নিউট্রিশনিষ্ট (পোল্ট্রি ও লাইভস্টক) ডা. কাকলী মোহন্ত কেয়া সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তিনি AMR/AMU, Action & Selection of ABs শীর্ষক কারিগরী তথ্যাদি উপস্থাপন করেন।
বক্তারা আরো বলেন, যে কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে তা কার্যকরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। আর আমাদের উচিত মাঠ পর্যায়ে খামারীদেরকে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা। দেশের সকল পর্যায়ে খামারিদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে আমরা নিরাপদ দুধ-ডিম, মাছ-মাংস উৎপাদনে কার্যকর অবদান রাখতে পারবো। এজন্য অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোধকল্পে আইনের যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে এমন মানহীন অ্যান্টিবায়োটিক বাজারে রাখা যাবে না। সরকারের নজরদারি আরো কঠোর করার আহবান জানান তারা।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন এগ্রো সলিউশনের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট (পোল্ট্রি ও লাইভস্টক) ডা. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তামিম গ্রুপ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব কামরুল হাসান পিএইচডি। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন এগ্রো সল্যুশন-এর সিইও অং থয়েন এ (অন্তু)।।
মানুষের সুস্বাস্থ্য, নিরাপদ খাবার এবং জীবনমান উন্নত করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা, ঔষধের যথাযথ ব্যবহার, গুণগত মানের ঔষধ তৈরি এবং এটি তৈরিতে নজরদারির ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সবাইকে স্ব স্ব জায়গা থেকে সচেতন থাকতে হবে, দায়িত্বশীল হতে হবে।