এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: হাইজেনিক ও হালাল চেইনশপ উন্নয়নের মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে নিরাপদ মাংস সরবরাহে কাজ করছে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)। মূল কাঁচাবাজার থেকে একটু দূরবর্তী স্থানে শতভাগ হালাল ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় প্রসেসিং কার্য সম্পাদনে হাইজেনিক ও হালাল পোল্ট্রি চেইনশপ উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় Rural Microenterprise Transformation Project (RMTP)-এর আওতায় এ ধরনের কার্যক্রমগুলি এলাকায় বাস্তবায়ন করছে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)।
কথা হয় সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর বাজারের রাবেয়া এন্টারপ্রাইজ (হালাল ও হাইজিন পোল্ট্রি চেইন শপ)-এর প্রোপ্রাইটর মোঃ কবীর মিয়ার সাথে। তিনি জানান দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) তাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছে। তিনি এখন এ ব্যবসায়ে বেশ আয়ের মুখ দেখছেন।
ডিএসকে-এর স্থানীয় পর্যায়ের কমকর্তারা জানান পোল্ট্রি চেইন শপে পরিচ্ছন্ন উপায়ে প্রসেসিং হলো মূখ্য বিষয়। আধুনিক বিশ্বে কাঁচাবাজারে জীবন্ত মুরগি জবেহ বা প্রসেসিং নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের কাঁচাবাজারেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ মুরগি। অধিকাংশ কাঁচাবাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবেহ করে যেভাবে সরবরাহ করা হয় তা ক্রমান্বয়ে কমাতে হবে।
দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) উদ্যোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বল্প পরিসরে গড়ে কবীর মিয়ার হালাল ও হাইজিন পোল্ট্রি চেইন শপ ধীরে ধীরে দেশের সকল এলাকায় গড়ে উঠবে। ভোক্তারা নিশ্চিন্তে নিরাপদ পোল্ট্রি মাংসের স্বাদ গ্রহন করতে পারবেন এমনটাই আশা করেন পোল্ট্রি শিল্পের সুধীজনেরা।