এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: রংপুরে “কেবিআর ভার্মি ও ট্রাইকো কম্পোস্ট” পরিদর্শন করলেন রুপান্তর প্রজেক্ট লিডার ড. তামারা জ্যাকসন , সিনিয়র রির্সাস ফেলো, দা ইউনিভারসিটি অব অ্যাডিলেড অস্ট্রেলিয়া। তিনি ইফাদ, পিকেএসএফ এবং আরডিআরএস বাংলাদেশ এর যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন RMTP- উপ- প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত কারখানাটি সম্প্রতি পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য উপ-প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ন কর্মকান্ড হলো জৈব সার উৎপাদন কারখানা উন্নয়ন। উপ-প্রকল্পের কর্ম এলাকায় খামারীদের রান্না ঘরের বর্জ্য, খামারের মুরগির লিটার ও ডিমের খোসা, গরুর খামারের বর্জ্য এবং অন্যান্য পঁচনশীল বর্জ্য হতে পরিবেশ বন্ধব ভার্মি ও ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন করা যা জমির উর্বরতা, উৎপাদনক্ষমতা ও ফসলের ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বর্পূন ভূমিকা রাখবে। এ
এরই ধারাবাহিকতায় “কেবিআর ভার্মি এবং ট্রাইকো কম্পোস্ট” নামে একটি জৈব সার কারখানা ধনতলা গ্রাম, খলেয়া ইউনিয়ন, রংপুর সদরে উন্নয়ন করা হয়েছে। জৈব সার কারখানাটিতে উপ-প্রকল্পের নির্দেশনা মোতাবেক ১৪৪ টি চেম্বার স্থাপন করা হয়েছে। “কেবিআর ভার্মি এবং ট্রাইকো কম্পোস্ট” এ জৈব সার উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ট্রাইকো ডার্মা পাউডার, মুরগির বিষ্টা ও লিটার, ছাই, চিটাগুড়, কাঠের গুঁড়া, রান্না ঘরের উচ্ছিষ্টাংশ, হাড়ের গুঁড়া, পঁচা গোবর এবং কুচুরীপানা ইত্যাদি কাঁচামাল একত্র করে পর্যায়ক্রমে চেম্বারে পচঁন ক্রিয়া সম্পাদনের মাধ্যমে ৫০-৬০ দিনে গুনগত মানের জৈব সার উৎপাদন করা হচ্ছে।
উদ্যোক্তা জনাব ওয়ালিদ প্রামানিক উপ-প্রকল্পে সহায়তায় কেবিআর ভার্মি এবং ট্রাইকো কম্পোস্ট” কারখানায়, জৈব সার উৎপাদনে ০৮ জন শ্রমিক ও জৈব সার বাজারজাতকরনে ০৬ জন মার্কেটিং অফিসারকে নিয়োগ দিয়ে কারখানার কাজ পরিচালনা করছেন। শ্রমিকদের মধ্যে কয়েকজন নারী শ্রমিক ও রয়েছেন। রুপান্তর প্রজেক্ট লিডার ”কেবিআর ভার্মি এবং ট্রাইকো কম্পোস্ট” কারখানাটি পরিদর্শন কালে তিনি এ ধরনের কর্মকান্ডের ভুয়সী প্রশংসার পাশাপাশি বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করেন। পরিশেষে, এ ধরনের কর্মকান্ড ও উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়ার জন্য উদ্যোক্তা জনাব ওয়ালিদ প্রামানিককে ধন্যবাদ জানান এবং তার সাফল্য কামনা করেন।