বিজনেস প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কুয়েত খ্যাত দেশের খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট অঞ্চলে প্রধান পেশা কৃষির পরই চিংড়ি ও মৎস্য চাষীদের অবস্থান। প্রায় কয়েক লক্ষের উপর নারী ও পুরুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে চিংড়ি ও মৎস্য চাষের উপর নিরর্ভরশীল। এই এলাকায় চিংড়ি ও মৎস্য চাষীদের মাঝে সব সময় সেরা মানের ফিড উপহার দিয়ে একটি আস্থার জায়গা করে নিয়েছে নারিশ।
গত রবিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটায় সাতক্ষীরা সদরের লেক ভিউ রিসোর্টে এতদ অঞ্চলের নারিশ-এর পরিবেশকদের মাঝে "চিংড়ি ও মৎস্য চাষে খাদ্য ও পুকুর/ঘের ব্যবস্থাপনা " সংক্রান্ত এক মত বিনিময় সভায় উপস্থিত পরিবেশকরা এমন মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা অঞ্চলের ২৫ জন পরিবেশকরা অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে পদোন্নতি লাভ করায় মোঃ সামিউল আলীমকে ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। এছাড়া ডা. মুছা কালিমুল্লাহ্ ডিজিএম (সেলস্ এন্ড সার্ভিস), ডাঃ মোঃ ফরিদ হোসেন, এজিএম, সেক্টর-৪, সিনিয়র ম্যানেজার (সেলস এন্ড সার্ভিস) মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, ডাঃ হযরত আলী, সিনিয়র আরএসএম, খুলনা জোন-কে যশোর রিজিয়নের কর্মকর্তাদের পক্ষ পরিবেশকদের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সিনিয়র ডিজিএম জনাব এস এম এ হক অনুপস্থিত থাকায় তাঁর পক্ষে সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন এভিপি জনাব মোঃ ছামিউল আলিম।
অনুষ্ঠানে মোঃ সামিউল আলীম পরিবেশকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ফিড উৎপাদন ও বিপণনে মার্কেটে বিগত কয়েক বছর ধরেই ধারাবহিকভাবে শীর্ষতম স্থানে অবস্থান করছে নারিশ ফিড। এর মূলে রয়েছে এই অঞ্চলের পরিবেশকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা। এখানের পরিবেশকরা মৎস্য খামারিদের কাছে থেকে নারিশের মৎস্য বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় নানারকম সহযোগিতা করে থাকেন। আগামীতে তাদের সহযোগিতার হাত আরো বৃদ্ধির মাধ্যমে নারিশ ফিডকে তাদের হৃদয়ের মনি কোঠায় নিয়ে যাবেন এমনটাই কামনা করেন সামিউল।
ডা. মুছা কালিমুল্লাহ্ বলেন, নারিশ খাবারের মান, সময়মতো ফিড সরবরাহ ও কারিগরী সেবা, বিপদে-আপদে পরিবেশক ও খামারীদের পাশে থেকে সবসময় সেরাটা দিতে সচেষ্ট থাকে। সাতক্ষীরা এলাকায় মৎস্য উৎপাদনে নীরব বিপ্লব সাধিত হয়েছে পরিবেশকদের সচেতনতার কারণে। কারণ মানের ব্যাপারে তারা কোন আপোষ করেন না সব সময় সেরা খাবারটি তারা বেছে নেন। মৎস্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ফলে জেলাতে একদিকে যেমন নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি সমৃদ্ধি হয়েছে জেলার অর্থনীতি বলে মনে করেন তিনি।
মোঃ ওবায়দুল ইসলাম বলেন, মৎস্য চাষে তাদের উৎপাদিত ডুবন্ত, ভাসমান এবং মাইক্রো ফিস ফিড এবং মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা চাষ করে দেশের বাণিজ্যিক মৎস্য খামারিরা এখন লাভের মুখ দেখছেন। নারিশের ফিস ফিড ব্যবহারে এ এলাকার চাষীদের মাঝে সাড়া তাদেরকে আরো উৎসাহিত করছে।
ডাঃ মোঃ ফরিদ হোসেন অনুষ্ঠানে আগত পরিবেশকদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে হেড অফিস থেকে উর্ধতন কর্মকর্তা ও কারিগরী বিশেষজ্ঞদের সাথে পরিবেশকেদে এ মত বিনিময় নারিশের ফিস ফিড বিপনণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন। তিনি বলেন ফিড উৎপাদনের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি হলেও নারিশ পণ্যের মানের ব্যাপারে কোন কোন সময় আপোষ করেনি। তাদের ফিস ফিড সারা বাংলাদেশে অত্যন্ত সফলতার সাথে সাড়া জাগিয়েছে-এর গুনগত মান এবং উৎপাদন ক্ষমতার জন্য।
অনুষ্ঠানে খুলনা জোনের সিনিয়র আরএসএম ডাঃ হযরত আলী, যশোর রিজিয়নের এ আর এস এম মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলার সিনিয়র কাস্টমার সার্ভিস অফিসার ডাঃ দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য্য এবং যশোর রিজিয়নের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আয়োজনে আল আমিন মৎস্য খামার এন্ড ফিশ ফিড এর স্বত্ত্বাধিকারী জনাব মোঃ মুজিবর রহমান, আশিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, নিউ কৃষি ঘর এর স্বত্ত্বাধিকারী মি: গৌতম কুমার মন্ডল ও মামা ভাগ্নে পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিডের স্বত্ত্বাধিকারী জনাব শেখ জামশেদ বাবু, নাইম পোল্ট্রি এর স্বত্ত্বাধিকারী জনাব মোঃ বাবলুর রহমান ও বিশ্বাস পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিড ও বিশ্বাস ক্যাটেল ফিড এর স্বত্ত্বাধিকারী মি: দেবাশীস বিশ্বাস, রোকন পোল্ট্রি এর স্বত্ত্বাধিকারী জনাব মোঃ বিল্লাল হোসেন, ঐতিহ্য পোল্ট্রি এর স্বত্ত্বাধিকারী জনাব মোঃ আকতার হোসেন এবং ঐশী এন্টারপ্রাইজের পার্টনার অনিক পোল্ট্রি এর স্বত্ত্বাধিকারী মি: নিখিল ব্যানার্জী, আল-আমিন এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকারী জনাব মোঃ রমজান আলী ঢালী, নলতা পোল্ট্রি এর স্বত্ত্বাধিকারী জনাব মোঃ রওনাকুল ইসলাম এবং বেঙ্গল এগ্রো এর স্বত্ত্বাধিকারী জনাম মোঃ মেজবাহুর রহমানসহ আরো অনেকে অংশগ্রহন করেন।
সর্বশেষে নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ এর নবনিযুক্ত শ্রদ্ধেয় এভিপি জনাব মোঃ ছামিউল আলিম কে সম্মাননা পদক দিয়ে বরণ করে নেন সাতক্ষীরা জেলার নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ এর প্রথম পরিবেশক হাসিব এন্টারপ্রাইজ এর সত্ত্বাধিকারী জনাব মোঃ গোলাম ফারুক রিপন, আয়েশা এন্টারপ্রাইজ ও সরদার এন্টারপ্রাইজ এর সত্ত্বাধিকারী জনাব মোঃ দিদারুল আলম।